ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মুক্তিযুদ্ধের যত জাদুঘর

স্বাধীনতা জাদুঘর

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১:৩১ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০১৯

স্বাধীনতা জাদুঘর নামে বাংলাদেশের প্রথম ভূগর্ভস্থ জাদুঘরটি রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থিত। মাটির নিচে প্রায় ২৪ ফুট গভীরে দ্বিতল এ জাদুঘরের দৈর্ঘ্য ২৫৩ ফুট ও প্রস্থ ১২৬ ফুট। ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতা কমপ্লেক্স প্রকল্পের আওতায় এ জাদুঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। জাদুঘরটির বিভিন্ন অংশে ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস সন্নিবেশিত আছে।

মুঘল শাসনামল থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালে বিজয় দিবস পর্যন্ত দীর্ঘ সংগ্রাম, ইতিহাসের সচিত্র বর্ণনা প্রদর্শন করা আছে জাদুঘরে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্মিত একটি বৃহৎ পরিকল্পিত নকশার অংশ এটি। এই নকশায় রয়েছে একটি অ্যাম্ফিথিয়েটার, তিনটি জলাধার, শিখা চিরন্তন, স্বাধীনতা সংগ্রামের চিত্রবিশিষ্ট একটি ম্যুরাল এবং ১৫৫ আসনবিশিষ্ট একটি অডিটরিয়াম। তবে পুরো নকশার প্রধান বিষয় হলো একটি ৫০ মিটার বিশিষ্ট আলোকস্তম্ভ যা স্বাধীনতা স্তম্ভ নামে পরিচিত।

জাদুঘরটির প্লাজাটি ৫৬৬৯ বর্গমিটার বিশিষ্ট টাইল দ্বারা আবৃত স্থান। জাদুঘরের মাঝখানে আছে একটি ঝর্ণা যাতে ওপর থেকে পানি পরে। বাংলাদেশি স্থপতি কাশেফ মাহবুব চৌধুরী এবং মেরিনা তাবাসসুম ১৯৯৭ সালে একটি জাতীয় স্থাপত্যিক নকশা প্রতিযোগিতা জয়ের মাধ্যমে এই প্রকল্পটির কাজ বাস্তবায়নের সুযোগ লাভ করেন।

৬৭ একরজুড়ে বিস্তৃত পুরো প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় হয় প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা। জাদুঘরটিতে ১৪৪টি কাচের প্যানেলে ৩০০ এরও বেশি ঐতিহাসিক আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়। টেরাকোটা, ঐতিহাসিক আলোকচিত্র, যুদ্ধের ঘটনা সংবলিত সংবাদপত্রের প্রতিবেদনও প্রদর্শন করা হয়। তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিভিন্ন বিদেশি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিলিপি এবং বিদেশে প্রচারণা সৃষ্টিতে তৈরিকৃত বিভিন্ন পোস্টারও প্রদর্শনীতে রয়েছে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Electronic Paper