সুন্দরী খোঁজার আদ্যোপান্ত
মিস ওয়ার্ল্ড
বিবিধ ডেস্ক
🕐 ২:১৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০১৯
বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আলোচিত ও সমালোচিত সুন্দরী প্রতিযোগিতা হলো মিস ওয়ার্ল্ড। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতা। যুক্তরাজ্যের এরিক মোর্লে ১৯৫১ সালে এই প্রতিযোগিতার গোড়াপত্তন করেন। এরপর থেকে এটি এখন পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ২০০০ সালে এরিকের মৃত্যুর পর থেকে তার স্ত্রী জুলিয়া মোর্লে প্রতিযোগিতার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই প্রতিযোগিতার প্রতিপক্ষ হিসেবে মিস ইউনিভার্স এবং মিস আর্থ প্রতিযোগিতা বিশ্বে প্রচলিত রয়েছে। তবে মিস ওয়ার্ল্ড সুন্দরী প্রতিযোগিতাটিই বর্তমান বিশ্বে সৌন্দর্যপ্রিয় জনগোষ্ঠীর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রচারিত ও প্রচলিত সুন্দরী প্রতিযোগিতা।
শুরুতে মোর্লে সুন্দরীদের সুইমিং শুট এবং বিকিনি পরে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের প্রচলন করেছিলেন। ১৯৯৪ সালে মিস ওয়ার্ল্ডের মুকুট জিতে নেন ভারতের ঐশ্বরিয়া রাই। মিস ওয়ার্ল্ড আয়োজকদের সদরদপ্তর লন্ডনে। ঐতিহ্যগতভাবে মিস ওয়ার্ল্ড পদবিধারী নারীকে প্রতিযোগিতার সময় লন্ডনে অবস্থান করতে হয়।
মিস ওয়ার্ল্ডে মেধা ও সৌন্দর্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রত্যেক সুন্দরীকে তার নিজ এলাকা এবং নিজ দেশে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রথম হতে হয়। তিনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন মিস ওয়ার্ল্ডের মঞ্চে। ২০১৭ সালে ৬৭তম মিস ওয়ার্ল্ড আসরে বাংলাদেশ থেকে জেসিয়া ইসলাম অংশগ্রহণ করেছিলেন। মিস ওয়ার্ল্ড বিজয়ীকে স্কলারশিপ এবং নগদ পুরস্কার দেওয়া হয়।
বার্ষিকভাবে নিয়মিত অনুষ্ঠিত মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার স্বত্বাধিকারী ও পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে মিস ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন। ১৯৫১ সাল থেকে চলে আসা সংগঠন হিসেবে মিস ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন ২৫০ মিলিয়নেরও অধিক পাউন্ড শিশুদের দাতব্য তহবিলে দান করে আসছে। মিস ওয়ার্ল্ড লিমিটেড একটি ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান এবং এর আয়-ব্যয় ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণ জনগণের জন্য উন্মুক্ত নয়। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা দাতব্য সংস্থার জন্য মিলিয়ন মিলিয়ন পাউন্ড সংগ্রহ করা এর অন্যতম কাজ।