ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ইউরোপের যুদ্ধবিমান

বিবিধ ডেস্ক
🕐 ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১১, ২০১৯

যুদ্ধবিমানের কথা উঠলে সাধারণত রুশ বা মার্কিন যুদ্ধবিমানের কথাই মাথায় আসে। হাল আমলে অবশ্য চীন, ভারত, পাকিস্তান, তাইওয়ান, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো এশীয় শক্তিরাও যুদ্ধবিমান নির্মাণের ব্যাপারে মনোযোগী হয়েছে। তবে এই ডামাডোলে ইউরোপীয় যুদ্ধবিমানের কথা একটু চাপাই পড়ে থাকে। গুণে, মানে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে দারুণ কার্যকরী যুদ্ধবিমান আছে ইউরোপেরও।

দ্বিতীয় প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘মিরেজ-৩’। এটি প্রায় ৫০ ফুট লম্বা। লেজবিহীন ডেল্টা আকৃতির ডানাবিশিষ্ট এই বিমান আকাশযুদ্ধে ডগফাইটে পারদর্শী। একজন পাইলটই বিমানটি চালাতে পারে, পাল্লা দিতে পারে প্রায় ১,২০০ কিলোমিটার। প্রথম ইউরোপীয় বিমান হিসেবে মিরেজ-৩-এর গতিবেগ ম্যাখ ২ ছাড়ালে এটি বেশ হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল সে আমলে। একেকটি বিমান নির্মাণে খরচ পড়ে প্রায় ৩০ লাখ মার্কিন ডলার।

লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের নানা প্রান্তের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে মিরেজ-৩। ১৯৬৭ সালে, ৬ দিনের যুদ্ধে আরবদের ৫৯টি যুদ্ধবিমান আকাশযুদ্ধে ধ্বংস হয়, এর মধ্যে ৪৮টিই খানাই মিরেজ-৩-এর শিকার। ১৯৭৩- এর যুদ্ধে মিরেজ-৩ ও এর ইসরায়েলি ভার্সন নেশেরের আক্রমণে প্রায় দুই শতাধিক সিরীয় আর মিসরীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল। ফকল্যান্ডের যুদ্ধেও আর্জেন্টিনা সফলভাবে এই বিমান ব্যবহার করেছে। বিশ্বের অনেক দেশেই মিরেজ-৩-এর নানা আপগ্রেড করা সংস্করণ ব্যবহৃত হচ্ছে।

ইউরোপের উন্নতমানের যুদ্ধবিমানের তালিকায় আছে- সুইডেনের সাব-জেএএস ৩৯ গ্রিপেন, ব্রিটিশ এয়ারক্রাফট করপোরেশন এবং ফরাসি ব্রিগিত এভিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে বানানো জাগুয়ার, ইউরোফাইটার টাইফুন, ব্রিটেন, ইতালি আর জার্মানির যৌথ প্রচেষ্টায় নির্মিত প্যানাভিয়া টর্নেডো।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Electronic Paper