ভ্রাম্যমাণে চলন্ত দুনিয়া
ঘটনাস্থলে বিচারক
বিবিধ ডেস্ক
🕐 ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৯
ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) হলো, একটি সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতি। এই আদালতে বিচারক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তার বিচারিক এখতিয়ার অনুযায়ী, উপস্থিত সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে দোষীকে দ- দিয়ে থাকেন। ২০০৭ সালে ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত অধ্যাদেশটি’ জারি করে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ২০০৯ সালের ৪ অক্টোবর জাতীয় সংসদে এটিকে আইনে পরিণত করে, যা ‘মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯’ নামে পরিচিত।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের যেমন বিশাল সুনাম রয়েছে তেমন দুর্নামও রয়েছে। উপকারের দিক হচ্ছে, ভেজালবিরোধী অভিযানসহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টে অভিযান চালিয়ে এ আইনের আওতায় আপরাধীদের বিরুদ্ধে সংক্ষিপ্ত আকারে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। এর ক্ষতিকারক দিকও রয়েছে।
‘মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯’ অনুসারে, ২০১১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ভবন নির্মাণ আইনের কয়েকটি ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে একটি আবাসন কোম্পানির চেয়ারম্যানকে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এরপর ২০১১ সালের ১১ অক্টোবর ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের কয়েকটি ধারা ও উপ-ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তিনি আদালতে রিট আবেদন করেন। রিটের শুনানি নিয়ে একই বছর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। মূলত, রিট দায়ের করার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) পরিচালনাসংক্রান্ত ২০০৯ সালের আইনটির ১১টি ধারা ও উপ-ধারাকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।