ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আত্মহত্যা ও বাংলাদেশ

আবীর আলী
🕐 ৯:৩৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০১৮

খবরের কাগজে আমরা প্রতিনিয়তই আত্মহত্যার খবর পড়ি। আত্মহত্যা বলতে আমরা বুঝি নিজেকে নিজেই বিসর্জন দেওয়া। আত্মহত্যাকে কখনোই ভালো চোখে দেখা হয় না। কারণ, এটি ধর্মীয় ও মানবিক দিক থেকে একটি বড় অপরাধ। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট বলছে, ‘প্রতিবছর প্রায় ৮ লাখ মানুষ আত্মহত্যায় নিজের জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দেয়।

অর্থাৎ, প্রতি ৪০ সেকেন্ডে ১ জন আত্মহত্যায় নিজের জীবন বিসর্জন দেয়।’ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায় যে, ‘১৫-২৯ বছর বয়স্কদের মাঝে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি।’ বাংলাদেশে প্রতিবছর এসএসসি, এইচএসসিসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে অনেকেই নিজেকে শেষ করে দেয়।
এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হোসাইন, তানভীর রহমান ও মুশফিক মাহবুবের আত্মহত্যার ঘটনা সারা বাংলাদেশে তোলপাড় তৈরি করে।
আত্মহত্যার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে হতাশা ও মানসিক অসুস্থতা। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের দেওয়া তথ্য মতে, বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ বা প্রায় ৫ কোটি মানুষ কোনো না কোনো মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত। বাংলাদেশে এ বিশাল সংখ্যক মানুষের জন্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞ রয়েছে আড়াইশর একটু বেশি। এত বেশিসংখ্যক মানসিক রোগীর জন্য এত কম সংখ্যক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ থাকার কারণে আমাদের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ মনোরোগের চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকে। আত্মহত্যা করতে ইচ্ছুক ব্যক্তি সবসময় নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কথা বলে বেড়ায়। তারা মানুষকে বলে যে, আমি মারা গেলে কেউ আমাকে মনে রাখবে না এবং কান্নাও করবে না। বরং, সবাই আমার পরপারে চলে যাওয়াতে খুশি হবে ইত্যাদি। আত্মহত্যার মতো এ হীন কাজ ঠেকাতে ব্যক্তির পাশাপাশি সমাজেরও কিছু দায়িত্ব আছে। সমাজ যদি পর্যাপ্ত সমর্থন দেয় এবং মানুষে মানুষে সামাজিক সম্পর্ক মজবুত করে তাহলে আত্মহত্যার হার কমানো যাবে বলে মনে করেন সমাজবিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী ও অপরাধবিজ্ঞানীরা।


শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper