কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে
মকবুল হামিদ
🕐 ৯:৩৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৩, ২০১৮
দেশের স্কুল ও কলেজসমূহের শিক্ষকরা তাদের নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের নানা ভয়-ভীতি দেখিয়ে কোচিং করতে বাধ্য করছেন।
কোচিং বাণিজ্য করে শিক্ষকরা লাখ লাখ টাকা আয় করে নিচ্ছেন। যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বারবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য চিঠি কিংবা নোটিস এবং নীতিমালা প্রস্তুত করে পাঠিয়েছেন, সেখানে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা তাকে কোনো পাত্তাই দিচ্ছেন না। এটা কেমন দায়িত্ব পালন করা বুঝায়?
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) কোচিং বাণিজ্য বন্ধ এবং নীতিমালা অনুসরণে গত ২৮ এপ্রিল সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। সে অনুসারে কোনো শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমতি নিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ১০ জন শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ছাত্রছাত্রীর তালিকা, রোল, নাম ও শ্রেণি উল্লেখ করে জানাতে হবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলতে সরকারি-বেসরকারি স্কুল (নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক), কলেজ (উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর), মাদ্রাসা (দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল) ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বোঝাবে। ‘কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা ২০১২’ অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলাকালীন শিক্ষকের নির্ধারিত ক্লাসের বাইরে বা এর পূর্বে অথবা পরে শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে-বাইরে কোনো স্থানে পাঠদান করাকে কোচিং বলা হয়।
বাংলা বিভাগ, চাঁদপুর সরকারি কলেজ।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228