বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির বই উপহার কর্মসূচি
রফিকুজ্জামান রণি
🕐 ১২:৪৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০২১
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশুকিশোর দিবস উপলক্ষে বই উপহার কর্মসূচি পালন করেছে প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমি। গত বুধবার বিকালে চাঁদপুর বড় স্টেশন মোলহেডের রক্তধারা ভাস্কর্যের সামনে এ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন চর্যাপদ একাডেমির মহাপরিচালক রফিকুজ্জামান রণি। একাডেমির সভাপতি কবি নূরুন্নাহার মুন্নির সভাপতিত্বে ও রিমি মজুমদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট ইমাম হোসাইন টিটু। প্রধান আলোচক কবি ইকবাল আজিজ শাহীন। বক্তব্য রাখেন নিয়ন্ত্রণ পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল্লা কাহাফ, পরিচালক দুখাই মুহাম্মাদ, কবি খোরশেদ আলম বিপ্লব, জয়ন্তী ভৌমিক, জান্নাতুল ফেরদাউস সুপ্ত, ফেরারি প্রিন্স, আমিন উদ্দিন, নাজমুল ইসলাম, আল আমিন সানি, জান্নাতুল মাওয়া, তাফাজ্জল ইসলাম তাফু, আহনাফ আবদুল কাদের ও হাইমচর লেখক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান শাকির প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ছবিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন একাডেমির নেতৃবৃন্দ। সংগীত পরিবেশন করেন একাডেমির পরিচালক কণ্ঠশিল্পী নন্দিতা দাস। জাতির জনকের আদর্শের প্রতি আগামী প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে এবং বইপাঠের মাধ্যমে মাদক, জঙ্গিবাদ ও বাল্যবিবাহ থেকে সমাজকে মুক্ত করতে এমন মহতী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির মহাপরিচালক কবি রফিকুজ্জামান রণি। এবারের বই উপহার কর্মসূচিতে সহযোগিতা করেছেন জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার, কবি বীরেন মুখার্জী ও কবি মামুন রশীদ।
রফিকুজ্জামান রণি : লেখক ও সংগঠক
[email protected]
লম্বা ছুটিতে পাঠ্যবই!
করোনা মানুষের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন ঘটিয়েছে। যার প্রাদুর্ভাবের কারণে সারা বিশ্বে এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যার ফলে এটি যেমন বিশ্ব অর্থনীতিতে দিয়েছে চরম বড় মাপের ধাক্কা পাশাপাশি শিক্ষাব্যবস্থাকে নিয়ে গিয়েছে চরম খারাপ অবস্থার মধ্যে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বন্ধের দীর্ঘসূত্রতার ফলে, ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের নিমজ্জিত করে রেখেছে বিভিন্ন খেলাধুলা থেকে শুরু করে এবং অনলাইনের বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে। কেউ পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে ব্যস্ত রেখেছে বিভিন্ন অনলাইন ব্যবসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ছোটখাটো ব্যবসা-বাণিজ্যের মধ্যে। আবার কেউ বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে নিজেদের মহামূল্যবান সময় নষ্ট করছে। ফলে, দীর্ঘদিন বইয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকার কারণে এখন পাঠ্যবই থেকে শুরু করে সব ধরনের বই তাদের কাছে বিরক্তিকর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিভাবকদের উচিত হবে, সন্তানরা যেন খারাপ কোনো পাল্লায় পড়ে কোনো অসৎ পথে সম্পৃক্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা। সন্তান যেন পাঠ্যবই থেকে শুরু করে সব ধরনের বইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে, সে ব্যাপারে তাদেরকে উৎসাহিত করা।
রফি উদ্দিন শাব্বির : শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা কলেজ
sabbirahmed308131@gmail
স্বাধীনতা আমাদের অহংকার
জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব রক্ষায় এবং আত্মনির্মাণের সংগ্রাম শুরু হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চে। স্বাধীনতা দিবস বাঙালি জাতির জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। দিবসটি স্মরণীয় এবং বরণীয় হিসেবে মনে রাখার জন্য আমরা স্বাধীনতা দিবস পালন করি। অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তাই আমাদের কাছে তার মূল্য অনেক। এই স্বাধীনতার মাধ্যমে আমাদের নবীন সূর্য উদিত হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের আনন্দ উজ্জ্বল মুহূর্তের মধ্যে আমাদের মনে পড়ে, এদেশের অসংখ্য দেশপ্রেমিকের শহীদের অবদান। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান হানাদার বাহিনী গভীর রাতে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা গ্রেফতার করে স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে। কিন্তু ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরেই শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দেন। বাংলাদেশের জন্য স্বাধীনতার জন্য বাঙালি জাতি যে ত্যাগ স্বীকার করেছে তা স্বাধীনতাকামী মানুষের অনন্য প্রেরণার উৎস। দীর্ঘ নয় মাস বাঙালি জাতি যুদ্ধ করে ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এই স্বাধীনতা। তাই বলা হয়ে থাকে, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। স্বাধীনতা আমাদের জীবনে অমূল্য সম্পদ। স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকা যেকোনো জাতির আত্মঅহংকার এবং অনুপ্রেরণার বিষয়। মানুষ মাত্রই স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে চায়। তাই এ স্বাধীনতাকে আমরা গুরুত্ব দিতে সর্বদা সচেষ্ট থাকব।
মরিয়ম আক্তার : শিক্ষার্থী, আবদুল গফুর ভূঁইয়া কলেজ, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা
[email protected]
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228