পাঠকের চিঠি
মড়ার উপর খাড়ার ঘা
সেঁজুতি লিমা
🕐 ৭:৩৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ০৬, ২০২০
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস একের পর এক প্রাণ কেড়ে নিতে শুরু করেছিল। মোকাবেলায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশেও ২৬ মার্চ থেকে কয়েক দফায় অঘোষিত লকডাউন করা হয়। যে কারণে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের কাছে দুই মাস বিল পরিশোধের কোনো নোটিস আসেনি এবং সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তিন মাস বিদ্যুৎ বিলের বিলম্ব মাশুল এবং সারচার্জ মওকুফ করা হবে।
মে মাসের শেষ সপ্তাহে যখন লকডাউন তুলে দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছিল ঠিক তখনই একসঙ্গে দুই মাসের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের নোটিস এল। যা দেখে সাধারণ মানুষের মাথায় হাত। শহর-গ্রাম সব জায়গাতেই গ্রাহকের বিল বিগত দিনগুলোর তুলনায় বেশি এসেছে। কারো কারো দুই-তিন গুণ বেশি। যে বিল্ডিংয়ে মাসে ৬০ হাজার টাকার মতো বিল আসত, সেখানে এসেছে ৮৬ হাজার টাকা। যার ১২০০ আসত তার এসেছে ১৭০০ টাকা এবং গ্রামে যার ৫০০-৬০০ টাকা আসত তার এসেছে ৯০০-১০০০ টাকা।
এই অবস্থায় অনেকেই বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ করেছে এবং তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মিটার রিডিং না করেই তারা অনুমানের ওপর ভিত্তি করে বিল প্রস্তুত করেছে তাই এমন হয়েছে। তবে যাদের বিল বেশি এসেছে তাদের আগামী মাসে বিল পরিশোধের সময় সমন্বয় করা হবে। আদৌ কি এই অতিরিক্ত বিলের সমন্বয় করা হবে? এছাড়াও দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার কারণে অনেকেই অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। কেউ কেউ খেতে পর্যন্ত পারছে না। এমন দুর্দশার মধ্যেও সাধারণ মানুষ কেন বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের অনিয়ন্ত্রিত ছলচাতুরির কবলে পড়ে অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করবে? নাকি এই মহামারির মধ্যেও সুকৌশলে দুর্নীতির জাল পাতা হয়েছে। এরপরেও প্রশ্ন থেকেই যায়।
মিটার রিডিং না করেই বিদ্যুৎ বিল প্রস্তুত করতে হবে কেন? রিডিং না করে বিল প্রস্তুত কেউ করেছে কোনোদিন! যেখানে বলা হয়েছে, তিন মাসের বিদ্যুৎ বিলের বিলম্ব মাশুল আর সারচার্জ মওকুফ করা হবে সেখানে দুই মাসের মাথায় তড়িঘড়ি করে মিটার রিডিং ছাড়া বিল প্রস্তুত করার কারণ আসলে কী? প্রশ্নগুলোর উত্তর হয়ত নেই। তবে একটা কথা, আমরা (দেশের বড় বড় নেতারা) মুখে মুখেই দেশকে সিঙ্গাপুর, লসঅ্যাঞ্জেলেস বানিয়ে ফেলি! সিঙ্গাপুরের মতো কাজ করতে পারি না শুধু।
সেঁজুতি লিমা, শরীয়তপুর
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228