সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি
আকাশ বড়ুয়া
🕐 ৬:০৮ অপরাহ্ণ, জুন ০৯, ২০২০
বর্তমানে করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী ভীতিকর ও অনিশ্চিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এই অবস্থায় আমাদের নবজাতক ও শিশুদের ইপিআই বা সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির বিষয়ও মাথায় রাখা উচিত। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ গ্রামে বসবাস করেন। তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক ইপিআই-এর (সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি) গুরুত্ব ভালোভাবে অনুধাবন করেন না।
অপরদিকে শহরে বসবাসরত একশ্রেণির মানুষজন ইপিআই-এর গুরুত্ব অনুধাবন করলেও করোনার এই ক্রান্তিলগ্নে নবজাতকদের টিকাদানের ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। তাদের মধ্যে আবার কারো কারো ধারণা, নবজাতক বা শিশুকে পরে টিকা দেওয়াবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে। কিন্তু বাস্তবিক অর্থ, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি অত্যন্ত জরুরি এবং এর নির্দিষ্ট একটা নিয়ম আছে। নবজাতকের বয়সের ওপর নির্ভর করে দিতে হয় এই টিকা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক টিকাদান কর্মসূচির লক্ষ্য সারা পৃথিবীর সকল শিশুকে এ কর্মসূচির অধীনে নিয়ে আসা। বাংলাদেশ সরকারসহ জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্র কর্তৃক শিশুদের সংক্রামক রোগগুলো টিকাদানের মাধ্যমে শিশু মৃত্যুহার কমানোর জন্য পরিচালিত কর্মসূচি।
একটা টিকা যে কতটা মূল্যবান তা এই করোনাভাইরাসের মহামারি আমাদের ভালোভাবেই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। মহামারির এই পরিস্থিতি আমাদের বুঝিয়ে দিচ্ছে, যখন কোনো রোগের টিকা থাকে তখন অবশ্যই নবজাতক, শিশু ও আমাদের নিজেদের যথাসময়ে সেই টিকা নেওয়া উচিত। কাজেই কোভিড-১৯ আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন ব্যাহত করলেও, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি যেখানে সেবাটি মিলছে সেখান থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতার সঙ্গে আপনার সন্তানকে টিকা দেওয়ার চেষ্টা করুন। শিশু ও নবজাতককে সঠিক সময়ে তাদের টিকাগুলো দিয়ে ফেলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, ওইসব টিকা একদিকে যেমন মৃত্যুঝুঁকি কমায় অন্যদিকে তাদের জটিল রোগ থেকে রক্ষা করে।
আকাশ বড়ুয়া, শিক্ষার্থী, মেডিকেল ফ্যাকাল্টি, ঢাকা
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228