ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

তিতাসের কঙ্কালসার যৌবন!

সাধন সরকার
🕐 ৮:২২ অপরাহ্ণ, মার্চ ০৩, ২০১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর গর্ব তিতাস নদী এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। ঔপন্যাসিক অদ্বৈত মল্লবর্মণ তিতাস নদীকে নিয়ে (১৯৫৬ সালে) বিখ্যাত একটি উপন্যাস রচনা করেন। কালজয়ী এই উপন্যাসে তিনি লিখেছেন, ‘তিতাস একটি নদীর নাম। তার কূলজোড়া জল, বুকভরা ঢেউ, প্রাণভরা উচ্ছ্বাস। স্বপ্নের ছন্দে সে বহিয়া যায়।’ কিন্তু এখনকার তিতাসের দিকে তাকালে এসবের কিছুই মেলে না। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাজুড়েই বেষ্টিত তিতাস নদী অনেক বেশি আঁকাবাঁকা। তিতাসের মোট দৈর্ঘ্য ১০০ কিলোমিটারের ওপরে।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খরস্রোতা তিতাস নদী এবং এর শাখাগুলো এখন মুরাদ নগরবাসীর দুঃখের আরেক নাম! এ অংশে নদীটি ভরাট হয়ে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। নদীতে পানি না থাকায় কৃষকরা জমিতে সেচ দিতে পারছেন না। নাব্য সংকটে একসময়ের স্রোতস্বিনী তিতাস নদীতে নৌ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

নদীটির কোনো কোনো অংশে পলিমাটি জমে চর পড়েছে, কোথাও আবার হাঁটুপানি। চর পড়া জায়গায় ধান চাষ করা হচ্ছে। নদীর এর মরণদশায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী। ধীরে ধীরে পলি পড়ে যাতায়াত পথ ভরাট হয়ে গেছে।

ময়লা-আবর্জনা ফেলে পাড়ের পরিবেশ বিনষ্ট করা হচ্ছে। এ ছাড়া দখল আর দূষণের কবলে পড়ে বিভিন্ন স্থানে তিতাসের গতিপথ সংকীর্ণ হয়ে গেছে। তাই তিতাসকে বাঁচাতে হলে পরিকল্পিতভাবে খননের উদ্যোগ নিতে হবে।

সাবেক শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper