ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শব্দদূষণ বন্ধ করুন

অলোক আচার্য
🕐 ৭:৪৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ০২, ২০১৯

আমাদের প্রাণের শহর ঢাকায় শব্দদূষণ মারাত্মকভাবে বেড়েছে, রীতিমতো অতিষ্ঠ করে তুলেছে নগরবাসীর জীবন। প্রতিনিয়ত শব্দদূষণ মানুষের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে যা অন্য দূষণগুলোর চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। শব্দের সহনীয় মাত্রা ৫০ ডেসিবল বলা হলেও হাইড্রোলিক হর্নের কারণে ঢাকায় শব্দের গড়মাত্রা ৯৫ ডেসিবেল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে ২০২১ সাল নাগাদ প্রায় অর্ধেক মানুষ শব্দদূষণে আক্রান্ত হবে এবং শ্রবণশক্তি কমার পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, অনিদ্রাসহ নানা রোগে আক্রান্ত হবে।

সম্প্রতি পরিবেশ অধিদপ্তরের এক জরিপে জানা যায়, ঢাকায় যানবাহনের শব্দের পরিমাণ ৯৫ ডেসিবেল, কলকারখানায় ৮০-৯০ ডেসিবেল, সিনেমা হল ও রেস্তোরাঁতে ৭৫-৯০ ডেসিবেল, যে কোনো অনুষ্ঠানে ৮৫-৯০ ডেসিবেল, মোটরবাইকে ৮৭-৯২ ডেসিবেল, বাস এবং ট্রাকে ৯২-৯৪ ডেসিবেল যার সবকটিই মানুষের মস্তিষ্কের বিকৃতি এবং জটিল সব রোগ সৃষ্টি করতে পারে। অন্য দূষণগুলোর তুলনায় শব্দদূষণ সম্পর্কে কম সচেতনতা এবং দুর্বল জ্ঞানের কারণে ক্রমেই শব্দদূষণ ভয়াবহ রূপে দেখা দিচ্ছে।

আজকাল শহর কিংবা গ্রামে একটি সমস্যা প্রকট হয়েছে। ডিজে নাম নিয়ে বড় বড় সাউন্ড বক্স উচ্চস্বরে বাজতে থাকে। বিয়েসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে টিনএজ বয়সের ছেলেমেয়েদের এরকম সাউন্ড বক্স বাজাতে দেখা যায়। এতে যে আরেকজনের অসুবিধা হচ্ছে বা হতে পারে তা ভাববার কোনো বালাই নেই। এতে যে মারাত্মক শব্দদূষণ হয় বলাবাহুল্য।

বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রায় ৩০টি জটিল রোগের অন্যতম প্রধান উৎস শব্দদূষণ।
শব্দদূষণের ফলে মাথাব্যথা, বদহজম, অনিদ্রা, মনোযোগ কমে যাওয়া, মেজাজ খিটখিটে হওয়া, অযথা বিরক্তিবোধ এমনকি নানাবিধ মানসিক চাপ সৃষ্টি হতে পারে। এসব থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে শব্দদূষণ অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

অলোক আচার্য
পাবনা

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper