প্রেসক্রিপশন স্পষ্ট করে লিখতে হবে
মুনতাসীর আল মামুন
🕐 ৮:৩৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯
রোগ নিরাময়ে মানুষের ভরসা হলো ডাক্তার। অথচ অনেক সময় ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়ে রোগ সারাতে গিয়ে বাড়িয়েই ফেলেন রোগীরা। প্রেসক্রিপশনে ডাক্তারের হাতের লেখার অস্পষ্টতাই এ জন্য দায়ী। অধিকাংশ সময়েই এক ডাক্তার অন্য ডাক্তারের হাতের লেখা বুঝতে পারেন না। ফার্মেসির কর্মীরাও, যাদের অধিকাংশই এসএসসি বা এইচএসসি পাস, ঠিকমতো প্রেসক্রিপশনে লেখা ওষুধের নাম শনাক্ত করতে পারেন না। ফলে সচরাচর তারা অনুমাননির্ভর হয়ে ওষুধ বিক্রি করেন। এতে সঠিক ওষুধের পরিবর্তে ভুল ওষুধ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে, যেটা একজন রোগীর জন্য কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে ইনস্টিটিউট অব মেডিসিন (আইওএম)-এর এক জরিপ মতে, প্রতিবছর সারা বিশ্বে প্রায় সাত হাজারের মতো রোগী ডাক্তারের অস্পষ্ট প্রেসক্রিপশনের জন্য মারা যান। ডাক্তার রোগীকে যে নির্দেশনা দেন, অস্পষ্ট লেখার কারণে প্রায়শই রোগীরা তা বুঝতে ভুল করেন। যে ওষুধ দিনে একবার খাওয়ার কথা, তা খেয়ে নেন দিনে তিনবার। রাতে খাওয়ার ওষুধ খেয়ে নেন দিনে। এতেই ঘটে যত বিপত্তি।
যদিও প্রেসক্রিপশন লেখার ব্যাপারে উচ্চ আদালতের স্পষ্ট নির্দেশনা ও সতর্কবাণী আছে, তবুও অধিকাংশ ডাক্তার সেসবের তোয়াক্কাই করেন না। অনিয়ম রয়েছে ফার্মেসিতেও। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিবন্ধিত ফার্মেসির বাইরেও দেশে অসংখ্য অবৈধ ফার্মেসি আছে। অবৈধগুলোতে তো কোনো ফার্মাসিস্ট নেই-ই, বৈধগুলোর অধিকাংশেও নেই। ফলে অনভিজ্ঞ বিক্রয়কর্মীর কারণেও সমস্যাটি চরমে পৌঁছেছে।
তাই ডাক্তারদের কাছে আবেদন, তারা যেন তাদের পেশাদারিত্ব এবং জনকল্যাণের কথা মাথায় রেখে স্পষ্ট করে প্রেসক্রিপশন লেখেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও যেন এ ব্যাপারে আইনের সঠিক ও কঠোর প্রয়োগ করেন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228