ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে সতর্ক হোন

তানভীর আহমেদ রাসেল
🕐 ৯:০৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০১৯

সাধারণ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বা ইনফেকশনের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সামান্য থেকে তীব্র যে কোনো রোগের জন্য লাগামহীনভাবে এটা ব্যবহারের ফলে শরীরে তৈরি হচ্ছে অ্যান্টিবায়েটিক রেজিস্ট্যান্স। এর মানে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাওয়া।

এর ফলে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ সত্ত্বেও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয় না। চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত অযথা ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক সেবন, অ্যান্টিবায়োটিকের সম্পূর্ণ কোর্স পূর্ণ না করে সেবন করার কারণে সেবনকৃত অ্যান্টিবায়োটিক শরীরে বিদ্যমান ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে সহনীয় হয়ে পড়ে এবং ক্রমাগত রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ারূপে সংখ্যা বৃদ্ধি করে।

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট এতটাই ভয়াবহ, একে অওউঝ কিংবা ক্যান্সারের চেয়েও বেশি মারাত্মক বলে মনে করা হয়। কারণ আক্রান্ত ব্যক্তির মলমূত্র, নিঃশ্বাসসহ নানান মাধ্যমে এসব রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া পরিবেশ ছড়িয়ে যাচ্ছে এবং সুস্থ মানুষকেও আক্রমণ করে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এমন অবস্থা চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরে কোনো অ্যান্টিবায়োটিক আর মানুষের শরীরে কাজ করবে না।

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের কারণে বাংলাদেশে কত মানুষ মারা যায়, এ ব্যাপারে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের করা এক গবেষণা জরিপ থেকে জানা যায়, রাজধানীতে শতকরা ৫৫ দশমিক ৭০ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে পড়েছে। তাই অ্যান্টিবায়োটিকের নিয়মসম্মত ব্যবহারের ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। এ জন্য ডাক্তারদের সক্রিয় ভূমিকাও খুবই প্রয়োজন। পাশাপাশি গণমাধ্যমও এ কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঝুঁকির হাত থেকে সরকারের আরও সক্রিয় হতে হবে।

তানভীর আহমেদ রাসেল 
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper