ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

দুর্নীতি প্রতিরোধে কঠোর হতে হবে

ওসমান গনি
🕐 ৮:২৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০১৯

সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার পরপরই দুর্নীতি প্রতিরোধের প্রতিশ্রুতিকে ইশতেহারে অগ্রাধিকার দেয় ক্ষমতাসীন দল। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণের কথা বলেছে দলটি। সে প্রতিশ্রুতির প্রতি আস্থা রেখেছেন ভোটাররা। ক্ষমতাসীন হয়েই সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি প্রতিরোধের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন তারা।

বর্তমান সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। প্রশাসনের তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত এ নির্দেশনা পৌঁছাতে হবে যাতে কেউ দুর্নীতি করতে না পারে। এরপরও যদি কেউ যদি দুর্নীতি করে, সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

আমাদের দেশে দুর্নীতির মতো ব্যাধি জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছে সর্বত্র। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত এ দেশের অর্থনীতি, সমাজ, সংস্কৃতি, শিক্ষা ও সরকারি-বেসরকারি প্রশাসনে সুশাসন ফেরার কথা ছিল সেখানে দিনে দিনে বেড়েছে দুর্নীতির বিষবৃক্ষ। ঘটে গেছে দুর্নীতির সামাজিকীকরণ। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি-বেসরকারি প্রশাসন-এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে দুর্নীতি শেকড় ছড়ায়নি।

ক্ষমতা ও ক্ষমতার বাইরে থাকা সর্বস্তরেই দুর্নীতি প্রশ্রয় পেয়েছে ভয়াবহভাবে। বিশ্লেষকদের মতে, দুর্নীতিপরায়ণ মানসিকতার কাছে বন্দি হয়ে পড়েছে গোটা সমাজ। দুর্নীতি ছাড়া কোনো কাজ হয় না-এমন মানসিকতাও তৈরি হয়েছে দেশের সবখানে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার, মন্ত্রণালয়, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের সব ধরনের অনিয়ম দুর্নীতির বিচার নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের সংবিধানেই রয়েছে যথোপযুক্ত নির্দেশনা। সংবিধানে ৭৭নং অনুচ্ছেদে ‘ন্যায়পাল’ নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতিকে। ১৯৭২ সাল থেকেই সংবিধানে এ বিধি সম্বিহিত আছে। পার্লামেন্ট কর্তৃক নিযুক্ত ন্যায়পাল সরকার, মন্ত্রণালয়, সরকারি যে কোনো প্রতিষ্ঠান বা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের তদন্ত করেন।

কুমিল্লা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper