ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

উপকূলে লবণাক্ততায় হুমকিতে জীববৈচিত্র্য

সাধন সরকার
🕐 ৯:০০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ০৬, ২০১৯

বাংলাদেশের উপকূলের মাটিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। ফলে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘন ঘন নোনা পানির প্লাবন মাটিতে লবণাক্ততা বাড়িয়ে দিচ্ছে।

লবণাক্ততার প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য জেলাগুলোতে চাষাবাদে সমস্যা, সুপেয় পানির সংকট ও জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। লবণাক্ততার কারণে কৃষিজমিতে ফলন কম হচ্ছে। জমি চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে! লবণাক্ততার কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। অনেকে দীর্ঘদিনের পেশা বদল করতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেক পরিবার প্রতিকূল পরিবেশের অভিযোজনে টিকতে না পেরে বাপ-দাদার ভিটে ছেড়ে বা বিক্রি করে শহরে পাড়ি জমাচ্ছেন।
 লবণাক্ততার কারণে সুন্দরবনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সুন্দরবনের শিবসা, পশুর নদসহ অন্যান্য নদ-নদী ও খালে লবণাক্ততার পরিমাণ বাড়ছে। তথ্যমতে, সুন্দরবন এলাকায় প্রতিবছর লবণাক্ততা বাড়ছে প্রায় ২ পিপিটি বা পার্টস পার ট্রিলিয়ন হারে। লবণাক্ততার ফলে বিরূপ প্রভাব পড়েছে মিঠাপানির মাছের ওপর। মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে সুন্দরবনের প্রায় ২৭ প্রজাতির মাছ। ইতিমধ্যে খুলনা ও বাগেরহাটের নদী-নালা, খাল-বিল থেকে মিঠা বা স্বাদু পানির অনেক মাছ হারিয়ে গেছে। নদ-নদীগুলোর প্রবাহ কমে আসার ফলে নিম্নমুখিতার দিকে লবণাক্ততা উঠে আসছে। এ ছাড়া বনের চারপাশে নতুন নতুন বসতি ও আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে। বিভিন্নভাবে সুন্দরবনের এই নদী-খালগুলোকে বিষাক্ত করে তোলা হচ্ছে। সুন্দরবন বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। তাই সুন্দরবন রক্ষায় উপকূলে লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাসহ সুন্দরবনের আশপাশ থেকে দূষণ সৃষ্টিকারী শিল্পকারখানা সরিয়ে ফেলতে হবে। উপকূলীয় অঞ্চলে সবুজ বেষ্টনী বাড়াতে হবে।

সাধন সরকার
ঢাকা

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper