বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল
সাধন সরকার
🕐 ৮:৫৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩০, ২০১৮
সোয়ারীঘাটের কিছুটা পশ্চিমে চাঁদনী ঘাট এলাকায় দুভাগে ভাগ হয়ে যাওয়া বুড়িগঙ্গার উত্তর দিকের শাখাটিই মূলত, বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল হিসেবে পরিচিত। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে আদি চ্যানেল তথা নদীর দুপাশ ঘেঁষে ও এর মধ্যে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ঘরবাড়ি, কলকারখানা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ঝুলন্ত টয়লেট।
প্রতিদিন নদীর পানিতে যুক্ত হচ্ছে ডাইংসহ শত শত কারখানার তরল ও কঠিন বর্জ্য, জলযান নিঃসৃত তেল-ময়লা, গৃহস্থালি ময়লা, পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিকের বোতল, রাসায়নিক ও কীটনাশকের দূষণ, হাসপাতালের বর্জ্য, মানুষ ও অন্য প্রাণীর মলমূত্র ইত্যাদি। সহজ কথায়, এমন কোনো ময়লা-আবর্জনা নেই যা এখানে ফেলা হয় না। আদি বুড়িগঙ্গার পানি এখন আলকাতরার মতো কালো, ময়লা-আবর্জনায় ঠাসা ও মাত্রাতিরিক্ত দুর্গন্ধময়।
কয়েকটি প্রভাবশালী চক্র নদীতে বর্জ্য ফেলে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চাইছে। কেননা ময়লা দিয়ে ভরাট হলে নদী দখল করতে তাদের সুবিধা হয়! আদি চ্যানলের জায়গা দখল করে কোথাও গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ প্লাস্টিক ও পলিথিন কারখানা। অনেকে আবার আদি চ্যানেলের মালিকানা দাবি করে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে বসে আছেন! যতই দিন যাচ্ছে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল ততই ভরাট হচ্ছে। আদি চ্যানেল সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিবেশ দূষণের কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগ, মশা, ময়লা-পচা দুর্গন্ধে জীবনযাপন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আদি চ্যানেল ভরাট হয়ে যাওয়ার ফলে বর্ষা মৌসুমে কামরাঙ্গীরচরের অধিকাংশ এলাকা জলাবদ্ধতায় তলিয়ে যায়। এ চ্যানেল রক্ষা করা না গেলে কামরাঙ্গীরচরের পানি নিষ্কাশন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হতেই থাকবে। তাই ঢাকার জনগণকে বাঁচানোর স্বার্থে বুড়িগঙ্গা তথা আদি চ্যানেল রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
সাধন সরকার
ঢাকা।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228