ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নিজস্ব উদ্যোগেই বিদ্যুৎ সাশ্রয়

সাঈদ চৌধুরী
🕐 ৯:৪৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০১৮

গ্রামের রাস্তার মোড়ে মোড়ে একটি করে সোলার ল্যাম্পপোস্ট দেওয়া হচ্ছে। একটি খুঁটি, একটি ছোট্ট সোলার প্যানেল খুঁটির ওপরেই এবং একটি লাইটে নিরাপত্তা যেমন নিশ্চিত হচ্ছে তেমনি বেঁচে যাচ্ছে বিদ্যুৎ, তেমনি বেঁচে যাচ্ছে শক্তির ক্ষয় সঙ্গে সঙ্গে কমে যাচ্ছে গ্রিনহাউস ইফেক্টের জন্য দায়ী তাপ।

বারবার সাসটেইনেবল বা টেকসই উন্নতির কথা বলা হলেও তার প্রয়োগিক ব্যাপারটি যখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছিল তখন এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে আশা জাগানিয়া। ফ্যাক্টরিগুলোর জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সোলার ব্যবহারের ব্যাপারে নিয়ম থাকলেও গৃহে বা বড় কোনো স্থাপনায় এখনো সোলার ব্যবহারে তেমন কোনো নিয়মের বাধ্যবাধকতা নেই। বাসভবনের আয়তন অনুযায়ী, একটি বাড়ির মোট বিদ্যুৎ ব্যবহারের এক থেকে দুই শতাংশ বিদ্যুৎ সোলার সিস্টেম বিদ্যুৎ ব্যবহারের বাধ্যবাধকতায় আনা যেতে পারে।
টেকসই সবুজায়নের জন্য এখনই প্রতিটি বাড়ির সিকিউরিটি লাইট ও বারান্দা বা বাইরের লাইটের ক্ষেত্রে সোলার লাইটের ব্যবহার বাড়ানোর ব্যাপারে সরকারের উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। সাধারণত বাড়ির ভেতরের লাইটগুলো সারা রাত ব্যবহার না হলেও বাইরের লাইটগুলো সারা রাত ধরেই ব্যবহার হয়ে থাকে। এই ব্যবহারের ফলে নির্দিষ্ট পরিমাণে বিদ্যুৎ কোনোভাবেই সাশ্রয় করা সম্ভব হয় না বরং মনের ভুলের কারণে সারা দিন জ্বলে থেকে বিদ্যুতের অপচয় হয় আরও দ্বিগুণ।
রাস্তার ডিভাইডারের লাইট ও ফ্লাইওভারের ওপরের লাইটগুলোও সোলারের আওতায় নিয়ে আসা যেতে পারে।
অটোমেটিক সেন্সর সিস্টেম করে দিলে সোলার লাইটগুলো শুধু অন্ধকারে জ্বলার নিশ্চয়তাও তৈরি করা সম্ভব।
যদি বাইরের লাইটগুলো, রাস্তার ল্যাম্পপোস্টগুলো সোলারের ছোট্ট প্যানেল ও লাইটের আওতায় আনা যায় তবে বিদ্যুৎ যেমন সাশ্রয় হবে তেমনি কমবে তাপ ও কার্বন নিঃসরণ। বিদ্যুৎ সাশ্রয় ও ব্যবহারের সুবিধার জন্য এ বিষয়ের দিকে দৃষ্টিপাত হতে পারে যুগান্তকারী। সরকারের সংশ্লিষ্ট সবার কাছে এ বিষয়ে দৃষ্টিপাত করছি।


শ্রীপুর, গাজীপুর।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper