শেরপুরে পরিত্যক্ত প্লাস্টিকে তৈরি হচ্ছে সুতা
শাকিল মুরাদ
🕐 ৩:৩৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
শেরপুরে পরিত্যক্ত প্লাস্টিক থেকে তৈরি হচ্ছে সুতা, যা স্থানীয় ‘কেঁকড়া’ নামে পরিচিত। এতে যেমন পরিচ্ছন্ন হচ্ছে এলাকা তেমনি দূষণমুক্ত হচ্ছে পরিবেশ। আর সৃষ্টি হচ্ছে কর্মসংস্থান, দূর হচ্ছে বেকারত্ব। আর এ কারণেই শেরপুরে ইতোমধ্যে তিনটি কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন এখানকার প্রায় শতাধিক বেকার ও অসহায় নারী-পুরুষ।
জানা গেছে, শহরের কুসুমহাটি এলাকায় গড়ে উঠেছে জাহিদ প্লাস্টিকস নামে সুতা তৈরির কারখানা। এতে আনাচে-কানাচে পড়ে থাকা পরিত্যক্ত প্লাস্টিক সামগ্রী কুড়িয়ে আনে শ্রমিকরা। পরে মেশিনে টুকরো করে তা ধুয়ে পরিষ্কার করে রোদে শুকানো হয়। পরে এই প্লাস্টিকের টুকরো গলিয়ে তৈরি করা হয় সুতা। ফলে পরিবেশ মুক্ত হচ্ছে দূষণের হাত থেকে।
পাশাপাশি কর্মসংস্থান হচ্ছে বেকারদের। প্রতি কারখানায় কাজ করছেন প্রায় ১৫/২০ জন শ্রমিক। বর্তমানে শহরে এমন ৩ থেকে ৪টি কারখানা রয়েছে। ব্যবসায়ীদের কাছে কেঁকড়া সুতাও জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই সুতা শেরপুর ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। আর এসব কারখানায় কাজ করে শ্রমিকরা ঘোরাচ্ছে তাদের সংসারের চাকা।
প্লাস্টিকের কারখানার শ্রমিকরা জানান, আগে তারা একেবারে গরিব ছিল। কোনভাবেই সংসার চলতো না। বর্তমানে এই কারখানায় একেক জনে মাসে ৫-৮ হাজার টাকা পায়।
শেরপুর বিসিক শিল্প নগরী কর্মকর্তা এসএম রেজুয়ানুল ইসলাম বলেন, শেরপুরে প্লাস্টিক রিসাইকেলিং করে সুতা তৈরি করা হচ্ছে। এই সুতাটি আবার নির্দিষ্ট সময়ের পর এটা মাটির সঙ্গে মিশে যায়। কিন্তু প্লাস্টিকের বোতল মাটিতে মিশে যেতে দীর্ঘদিন সময় লাগে।
আমরা অবশ্যই প্লাস্টিক শিল্পটিকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে পারবো। পাশাপাশি তাদেরকে একটি সরল সুদে ঋণ দিতে পারবো। এছাড়াও তারা যদি কারিগরি এবং কোন ধরনের তথ্য চান তাহলে তাদের সেই তথ্য দিয়ে আমরা সহযোগিতা করবো।