ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

চলনবিলের ১৬ নদী অস্তিত্ব সংকটে

নাজমুল হাসান
🕐 ৩:৪৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০

সময়ের স্রোতে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। তেমনি নাটোরের গুরুদাসপুর ও চলনবিলের প্রধান নদী আত্রাই, নন্দকুঁজা, গুমানীসহ ১৬ টি নদ-নদীতে পানি শুকিয়ে নৌচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে পানি দেখা গেলেও বর্ষা শেষে আর থাকে না। দখল, দুষণ আর ভরাটের কারণে নদীগুলো সংকুচিত হয়ে পড়ায় মরে যাচ্ছে চলনবিলের নদী। পানির অভাবে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

ফলে কৃষি জমির সেচকার্য্য ব্যহত হবার পাশাপাশি দেশী মৎস্য সম্পদ জীব- বৈচিত্র হুমকির মুখে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. রেদওয়ানুর রহমানের প্রবন্ধ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, প্রায় ২৯ বছর আগেও চলনবিলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীতে বছর জুড়েই ৬-১২ ফুট পানি থাকত। ফলে বছর জুড়েই নৌচলাচল করতো। কিন্তু বছরের পর বছর পলি জমে এসব নদী ভরাট হয়ে গেছে।

পরিসংখ্যানমতে, প্রতি বছর ২২২১/২ মিলিয়ন ঘনফুট পলি প্রবেশ করে ৫৩ মিলিয়ন ঘনফুট পলি বর্ষায় চলনবিলে ত্যাগ করে। অবশিষ্ট ২৬৯১/২ মিলিয়ন ঘনফুট পলি নদ-নদীসহ চলনবিলে স্থিতি থাকে। নদী আর নৌকাকে ঘিরে চলনবিলের গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড়, নাজিরপুর, সিংড়ার, বড়াইগ্রামের আহম্মেদপুর, তাড়াশের ধামাইচ, নাদোসৈয়দপুর, চাটমোহরের ছাইকোলা, অষ্টমনিষা, মির্জাপুর ভাঙ্গুড়ায় গড়ে উঠেছিল বড় নৌবন্দর।

চলত রমরমা ব্যবসা-বানিজ্য। কালের আবর্তমানে সেসব এখন শুধুই ইতিহাস। ব্যবসায়ি আইনুল মোল্লা, আব্দুল্লাহসহ অনেক ব্যবসায়ীরা জানান, তারা এক সময় নৌকায় করে শতশত মণ ধান, পাট, গম সরিষাসহ চলনবিলের সব কৃষিজাত পণ্য ঢাকা, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে নিয়ে যেত।

বড়াল নদী রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব এসএম মিজানুর রহমান জানান, চলনবিলের প্রাণ হলো নদ-নদী ও খাল-বিল। এগুলো রক্ষা করতে না পারলে চলনবিল তার স্বকীয়তা হারাবেই।

 
Electronic Paper