ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পুলিশ পরিচয়ে ইয়াবা ব্যবসা, পুলিশের হাতেই আটক!

কালীগঞ্জ প্রতিনিধি
🕐 ২:৪৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২০

তিনি পুলিশের কনস্টেবল। এই পরিচয়কে পুঁজি করে ইয়াবা বিক্রি করে বেড়াতেন তিনি। অবশেষে পুলিশের ফাঁদেই ধরা পড়লেন তিনি। এই কনস্টেবলের নাম মাহমুদুল হাসান ওরফে সৈকত। কালীগঞ্জ উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের ছৈলাদী গ্রামের এসএম মনির উদ্দিন শেখের ছেলে। তিনি নরসিংদী পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন। তবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন দীর্ঘদিন।

খবর ছিল কালীগঞ্জ উপজেলার আনাচে-কানাচে তিনি ইয়াবার ব্যবসা করে বেড়াচ্ছেন। আর তিনি এ কাজের সুবিধায় স্থানীয়ভাবে একটি টিমও গড়েছেন। কিন্তু তার আর শেষ রক্ষা হলো না। শুক্রবার রাতে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হকের ফাঁদে ২৫ পিস ইয়াবাসহ আটক হন তিনি।

ওই কনস্টেবল সম্পর্কে এভাবেই বিবরণ দেন জামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান ফারুক মাস্টার।

ইউপি চেয়ারম্যান জানান, সৈকত পুলিশের পরিচয়ে স্থানীয়ভাবে ইয়াবা ব্যবসা করতেন। পুলিশে চাকরি করলেও দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। তার নেতৃত্বে স্থানীয়ভাবে গড়ে তুলেছিলেন ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয়ের একটি বড় চক্র। সাধারণ মানুষ তাকে কিছুই বলতে পারতেন না। কারণ সে পুলিশ।

ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘তার ব্যাপারে আমরা থানায় অবহিত করেছিলাম। এ কারণেই তার প্রতি থানা পুলিশের নজরদারি ছিল। কিন্তু সে বুঝতে পারেনি। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে নিজ বাড়ির পাশের একটি কালভার্টে বসা ছিল কনস্টেবল সৈকত। এ সময় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুলতান উদ্দিন খান তাকে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আটক করে। এ সময় পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি করে সে পালানোর চেষ্টা করে। পরে তার দেহ তল্লাশি করে ২৫ পিস ইয়াবা জব্দ করে তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক বলেন, ‘এ ব্যাপারে থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা দায়ের হয়েছে। তাকে শনিবার দুপুরে গাজীপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

 
Electronic Paper