বিদয়ের খুনি সাইমিনসহ জড়িতদের ফাঁসির দাবীতে মানবন্ধন
মোঃ সহিবুর রহমান
🕐 ৩:০৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০২০
হবিগঞ্জ শহরতলীর তেঘরিয়া গ্রামের ৫ম শ্রেণির ছাত্র (১০) ইসমাইল হোসেন বিদয়কে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনি সাইমিনসহ জড়িতদের ফাঁসির দাবীতে মানবন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
দুরন্ত পথিক সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত বুধবার (২২ জানুয়ারী) হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সকাল ১১টায় এ মাবনবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে হবিগঞ্জ সদও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম আওয়াল, ৩নং তেঘরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনু মিয়াসহ ব্যবসায়ীবৃন্দ, ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসীরা অংশ নেন।
উল্লেখ্য, হবিগঞ্জ শহরতলীর তেঘরিয়া গ্রামের ৫ম শ্রেণির ছাত্র (১০) ইসমাইল হোসেন বিদয়কে মোবাইল ফোনের জন্য পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আর এই কিলিং মিশনে ছিল প্রতিবেশী হবিগঞ্জ জেকেএন্ডএইচকে স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯ম শ্রেণির ছাত্র শাহরিয়ার মারুফ ওরফে সাইমিন।
গত ১০ জানুয়ারি উত্তর তেঘরিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী ফারুক মিয়ার ছেলে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ইসমাইল হোসেন বিদয় (১০) পৌদ্দার বাড়ি এলাকায় নাটক দেখার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এ সময় তার মা শাহেনা আক্তার কার সাথে যাবে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে, পাশের বাড়ির নবম শ্রেণির ছাত্র শাহরিয়ার মারুফ ওরফে সাইমিনের সাথে যাবে। রাত ৮টা বেজে গেলে বিদয় বাড়িতে ফিরে না আসায় বিদয়ের মা তার চাচাদের জানালে তারা বিদয়ের সাথে থাকা মোবাইলে ফোন করলে সেটা বন্ধ পান। আশপাশে খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে তার মা শাহেনা আক্তার রাতেই হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
বিভিন্ন পত্রিকায় নিখোঁজের সংবাদও ছাপা হয়।
এরপর গত ১৩ জানুয়ারি সকাল ১০টায় হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লস্করপুর ইউনিয়নের চরহামুয়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খোয়াই নদীর পূর্ব পাড়ে নদীর কিনারায় পানিতে বিদয় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে বিদয়ের চাচা মো. টেনু মিয়া ১৪ জানুয়ারি বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার সুত্রধরে জেকেএন্ডএইচকে স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯ম শ্রেণির ছাত্র শাহরিয়ার মারুফ ওরফে সাইমিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সাইমিনকে গ্রেফতারের পর জানাযায়, মোবাইল ফোনের জন্য হত্যা করা হয় রিদয়কে।
মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা রিদয় হত্যার দ্রুত বিচার দাবী করেন এবং খুনি সাইমিনসহ জড়িতদের অবিলম্বে ফাসি দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আর ছাত্র যেনো খুনের বলি না হয় দ্রুতই খুনিদের ফাসি দাবি করেন এলাকাবাসী। মানববন্ধন শেষে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।