যশোর-ভোলায় বাড়ছে ডেঙ্গু
যশোর ও ভোলা প্রতিনিধি
🕐 ৬:১৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে যশোরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমলেও মাঝামাঝি এসে আবারও বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৯০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে একজন মারাও গেছেন। এ নিয়ে বেসরকারি হিসাবে যশোরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১ জনে। অবশ্য স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, তাদের হিসাবে মৃতের সংখ্যা সাতজন।
অন্যদিকে, ডেঙ্গু আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না ভোলাতেও। গত ৪২ দিনে এ জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫০৫ জন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১৯ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন আরও সাতজন। তবে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও এখন কারও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
তবে ভোলায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে অর্ধেক স্থানীয় রোগী এবং বাকিরা ঢাকা থেকে আগত বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ১ আগস্ট থেকে ১২ সেপ্টম্বর পর্যন্ত জেলার সাত উপজেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৫০৫ জন। এদের মধ্যে এক মাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিন শতাধিক। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ভোলা সদর ও চরফ্যাশন উপজেলার বাসিন্দা সবচেয়ে বেশী।
ভোলা সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ্র নাথ মজুমদার জানান, ডেঙ্গু রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সব হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে। ডেঙ্গু মোকাবেলায় তাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এদিকে দিন দিন ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে মানুষ। জ্বর হলেই রোগীরা হাসপাতাল ও ক্লিনিকে গিয়ে ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে ভিড় জমাচ্ছে।
অন্যদিকে, যশোরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মেহেরুন নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার যশোর সদর হাসপাতালে মারা যান তিনি। এছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯০ জন। এ সময় ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৭৫ জন। জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ১২১ জন।
এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন এক হাজার ৮৭০ জন। এর আগে গত ১১ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৭৪ জন। ৫ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ২৯ জন। ৪ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৫৭ জন।
এছাড়া ২২ আগস্ট যশোরে ৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়। ২৫ আগস্ট ৬০ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন। ৩১ আগস্ট যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ১৯ জন। ২৮ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৫২ জন।