ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

অবৈধ করাতকলে চলছে বনাঞ্চলের কাঠ চেরাই

সুনান বিন মাহাবুব, পটুয়াখালী
🕐 ৬:৪৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ০২, ২০২২

অবৈধ করাতকলে চলছে বনাঞ্চলের কাঠ চেরাই

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় বৈধের চেয়ে অবৈধ করাতকল বেশি। যত্রতত্র বসানো হয়েছে করাতকল। এসব করাতকলে বনের ম্যানগ্রোভ-ননম্যানগ্রোভসহ অপরিপক্ক গাছপালা চেরাই চলে সমানতালে। ফলে উপকূলের সংরক্ষিত-অসংরক্ষিত বনাঞ্চল ধংস হয়ে যাচ্ছে।

বনবিভাগের দেয়া তথ্যমতে, উপজেলায় মোট ৭৭ টি করাতকল রয়েছে। যার মধ্যে ৪৫টির কোন বৈধতা নেই। সবচেয়ে বেহালদশা মহিপুর রেঞ্জের। এখানে ৪১ টি করাতকলের ৩৭টি অবৈধ। তারপরও বনবিভাগের নাকের ডগায় পর্যন্ত এসব অবৈধ করাতকল চলমান রয়েছে। সংরক্ষিত বনাঞ্চলের আশপাশে পর্যন্ত রয়েছে করাতকল।

স্থানীয় লোকজনের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অবৈধ করাতকল বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য উপকূলীয় বনবিভাগ পটুয়াখালীর বন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন এপ্রিল মাসের ৫ তারিখে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তাদের লিখিত নির্দেশনা দিলেও এসব অবৈধ করাতকল আজ পর্যন্ত বন্ধ হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, মহিপুর রেঞ্জের অধীন খাজুরা, কুয়াকাটা, গঙ্গামতি এবং ধুলাসার এলাকার সংরক্ষিত এবং সামাজিক বনায়নের আশপাশেই এসব করাতকল স্থাপন করা হয়েছে। মহিপুর, লতাচাপলী, ধুলাসার, মিঠাগঞ্জ, লালুয়া, বালিয়াতলীতে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। কুয়াকাটাগামী মহাসড়ক ও বিকল্প সড়কের পাশেও জনবহুল এলাকায়- এমনকি আবাসিক এলাকায়ও বসানো হয়েছে করাতকল। সবচেয়ে বাজে অবস্থা মহিপুর রেঞ্জের ৪১ টি করাতকলের মাত্র চারটির কাগজপত্র বৈধ রয়েছে। বাকিসব অবৈধভাবে চলছে। লালুয়ার বানাতিবাজারের অবৈধ করাতকল বন্ধের লক্ষ্যে সেখানকার মানুষ লিখিত অভিযোগ পর্যন্ত করেছেন।

কুয়াকাটার একাধিক পরিবেশ কর্মী বলেছেন, এখানে করাতকল বসানো হচ্ছে খেয়ালখুশি মতো। বনবিভাগ উদাসীন। এ কারণে সংরক্ষিত বনাঞ্চল চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।

তাঁরা জানান, খাপড়াভাঙ্গা নদী তীর দখল করে পর্যন্ত করাতকল বসানো হয়েছে।

মহীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, তারা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন। সকল করাতকলের লাইসেন্স করাসহ নবায়নের জন্য উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছেন কলাপাড়ার বন কর্মকর্তা আব্দুস সালাম।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক জানান, প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। বৈধতা থাকতে হবে করাতকল চালাতে।

 

 
Electronic Paper