বন্যার উন্নতি, তারপরও পানি বাড়ার শঙ্কা
নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
🕐 ৯:১৪ অপরাহ্ণ, জুন ২২, ২০২২

নাগেশ্বরীতে বন্যার কিছুটা উন্নতি হলেও ফের পানি বাড়ার শঙ্কায় দুর্গত ৯ ইউনিয়ন ও পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডের লক্ষাধিক মানুষ। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তারা।
এবারের বন্যায় প্লাবিত এলাকায় পানি বেশ উচ্চতায় প্রবাহিত হয়। ঘর-বাড়ী, পথ-ঘাট, নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর, জলাশয় একাকার হয়ে যায়। মানুষ আশ্রয় নেয় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় খোলা অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করলে আশায় বুক বাঁধে তারা। কারো কারো ঘর-বাড়ি থেকে পানি নামতে শুরু করলে শেষ বিকেলে তারা বাড়ীতে ফেরেন ধুয়ে, মুছে পরিস্কার ও গোছগাছ করতে। এরপর সন্ধ্যার পরে হঠাৎই স্থির হয়ে যায় পানি। এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। রাতের একসময় বৃদ্ধি থেমে গেলেও বৃষ্টিহীন বুধবার একই অবস্থায় ছিল। ফলে আশাতীত উন্নতি হয়নি বন্যার। এখনো প্লাবিত এলাকায় ঘর-বাড়ী পানির নিচে।
তলিয়ে আছে পথ-ঘাট, নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর, জলাশয়। ডুবে যাওয়া সড়কের উপর দিয়ে তীব্র স্রোতে প্রবাহিত হচ্ছে বন্যার পানি। বন্যা যতই স্থায়ী হচ্ছে ততই বাড়ছে দুর্ভোগ। বন্যার্ত এলাকায় কোথাও কোথাও টিউবওয়েল তলিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট। ক্রমে ফুরিয়ে আসছে বানভাসীদের খাবারের মজুদ।
এদিকে নদী ও লোকালয়ের পানির উচ্চতা এখনো সমান প্রায়। উজানে বৃষ্টি হলে সমান হয়ে ফের লোকালয়ে ঢুকতে পারে পানি। এতে দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে বন্যা। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বানভাসীরা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোফাখখারুল ইসলাম জানান, আমরা সার্বক্ষণিক খবরাখবর রাখছি। সামগ্রিকভাবে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বানভাসীদের মাঝে সরকারী ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত আছে। বুধবারও ত্রাণ সহায়তা নিয়ে দুর্গত নারায়ণপুর এলাকায় গেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান ও নির্বাহী কর্মকর্তা নুর আহমেদ মাছুম। তারা সেখানে ৪৫০ জন দুর্গত মানুষকে জনপ্রতি ১০ কেজি চাউল, ১ লিটার তেল, ১ কেজি লবণ ও শিশু খাদ্য হিসেবে ১ কেজি সুজি, ১ কেজি চিনি, ৫০০ গ্রাম গুড়া দুধ দেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান জানান, পানি নেমে গেলেও এ সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
