কড়া নাড়ছে ‘ওমিক্রন’
দেশের সব হাসপাতালকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
🕐 ২:২৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৬, ২০২১
দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড ১৯) সংক্রমণ কমলেও আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ও পরিচালক (রোগ-নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, দরজায় কড়া নাড়ছে করোনার নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’।
গতকাল রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি সবাইকে সর্তক থাকার আহ্বান জানান।
ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, দেশে এখন করোনা সংক্রমণের হার ২ শতাংশের নিচে। এরপরও আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনো কারণ নেই। কারণ ঘরের দরজায় বিপজ্জনক ধরন ‘ওমিক্রন’ কড়া নাড়ছে। এ মুহূর্তে সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। সবাইকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, মাস্ক পরতে হবে। এগুলো নিশ্চিত করতে পারলে ‘ওমিক্রন’ হোক বা অন্য কোনো ধরন হোক তা আমরা মোকাবিলা করতে সক্ষম হব।
তিনি বলেন, ‘ওমিক্রন’ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত আছি। এক্ষেত্রে কমিউনিটিতে আমাদের সবার প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ অংশগ্রহণ জরুরি। একই সঙ্গে অন্যকে অনুপ্রাণিত ও উদ্বুদ্ধ করা এবং সহায়তার মধ্য দিয়েই আমরা এ ভাইরাসটিকে শতভাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব বলে মনে করি।
হাসপাতালকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ
ওমিক্রন নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের সব জেলা ও উপজেলার হাসপাতালে চিঠি দিয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ৮ হাজার নার্স ও ৪ হাজার নতুন ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বেগবান করা হয়েছে টিকা কর্মসূচি।
তিনি বলেন, ওমিক্রন নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়েছে। সেই সভা থেকে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গতকাল রোববার দুপুরে সাভারের থানা রোড এলাকায় নির্মাণাধীন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যানেজমেন্ট (বিআইএইচএম) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ওমিক্রন নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে আফ্রিকা, সাউথ আফ্রিকা এবং ওমিক্রন আক্রান্ত দেশ থেকে যারা আসবে তাদের ৪৮ ঘণ্টা আগে করোনা পরীক্ষা করে দেশে আসতে হবে। দেশে আসার পর তাদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, সীমান্তেও পরীক্ষা জোরদার করেছি। ঢাকার হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যারা বিদেশ থেকে আসবেন, তারা নিজ খরচে এসব সেন্টারে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে পারবেন। তার বাইরেও আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এয়ারপোর্টে স্ক্রিনিং ব্যবস্থা যোরদার করা হয়েছে। ল্যাবটি অনেক বড় করা হয়েছে। আগে ২ হাজার স্কোয়ার ফিটের ল্যাব ছিল। এখন ৩০ হাজার স্কোয়ার ফিটের ল্যাব করা হয়েছে। দেশের সব হাসপাতাল এবং আইসিও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, যারা বিদেশে বিশেষ করে আফ্রিকায় আছেন, তাদেরকে আহ্বান করব তারা এ মুহূর্তে দেশে না আসলে ভালো হয়। দেশকে নিরাপদে রাখতে হবে। তারা যেখানে আছে, সেখানেই থাকেন, দেশকে নিরাপদে রাখেন।
মন্ত্রীর সঙ্গে এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।