ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধি অযৌক্তিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০২১
জ্বালানি তেল আগের দামে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
গবেষণা সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, কেরোসিন ও ডিজেলের দাম বাড়ানোর যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যুক্তিসঙ্গত নয়। সরকারের নীতিমালার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয় এবং রাজনৈতিকভাবে এটা কোনো আলোকিত সিদ্ধান্ত না।
গতকাল বুধবার ‘জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি কতটুকু প্রয়োজন ছিল?’ শীর্ষক একটি ব্রিফিংয়ে সিপিডির পক্ষ থেকে এ অভিমত তুলে ধরা হয়।
মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সম্মানীয় ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান এবং গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
মূল প্রবন্ধে ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ফলে সামগ্রিকভাবে অর্থনীতি ও মানুষের জীবনযাত্রার ওপর চাপ সৃষ্টি হবে। এই মূল্যবৃদ্ধির ফলে হয়তো বিত্তবানদের ওপর খুব একটা প্রভাব পড়বে না। কিন্তু যারা দরিদ্র এবং যারা নতুন করে দরিদ্র হয়েছে, তাদের ওপর যে প্রভাব পড়বে। ন্যায্যতার দিক থেকেও এটা একটা অন্যায্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই দাম বাড়ানো হচ্ছে বিপিসির লোকসানের কথা বলে। বিপিসির লোকসানের কারণ কী? আমরা জানি, এখানে সুশাসনের অভাব রয়েছে। বিপিসির তেল সংগ্রহ, বিক্রি, মার্কেটিং সিস্টেমের ব্যবস্থাপনা ও সুশাসনের অনেক অভিযোগ রয়েছে। তারা বিভিন্ন মার্কেটিং কোম্পানিকে দিয়ে তেল মার্কেটিং করে। সেখানেও আমরা দেখি দুর্নীতির খবর এসেছে।’
যে হারে দাম বাড়ানো হয় বাজারে, তার থেকে বেশি হারে প্রভাব পড়ে- এমন অভিযোগ করে ফাহমিদা বলেন, ‘যখন কোনো একটা জিনিসের মূল্য ৫, ১০ বা ২০ শতাংশ বাড়ানো হলো, তখন আমরা বাজারে গিয়ে দেখব, মূল্য অনেক বেশি। এই যে এখন তেলের দাম ২৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে, সেখানে বাসের ভাড়া প্রকৃতপক্ষে ৫০ শতাংশ বেশি নেওয়া হচ্ছে।
জ্বালানি তেল আবারও আগের দামে ফিরিয়ে নেওয়ার সুপারিশ করেন ফাহমিদা।
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘সরকারের এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ভুল সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত থেকে সরকারের সরে আসা উচিত।’