ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য-ভিডিও প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে র্যাবের কঠোর হুশিয়ারি
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৭:২৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০২১
ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে যারা ভুল বা মিথ্যা তথ্য সংবলিত কনটেন্ট বা ভিডিও প্রচার করছেন- তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বুধবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ হুশিয়ারি দেন।
তিনি বলেছেন, যারা ভুল তথ্য বা কনটেন্ট প্রচার করছেন, তাদের হুশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই- যারা এ ধরনের অপতৎপরতায় লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। তাদের গ্রেফতার ও তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি একটি স্বার্থান্বেষী মহল দেশে এবং বিদেশে বসে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে চক্রান্ত ও চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা তথ্য প্রচারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও কনটেন্ট ছড়িয়ে দিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করছে।
কমান্ডার মঈন জানান- ঢাকা, কুমিল্লা, ফেনী, রংপুর, চট্টগ্রাম, রুপগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে র্যাব অভিযান চালিয়েছে। এ ধরনের ঘটনার মূলহোতা ও পেছন থেকে ইন্ধন দেওয়া অন্তত ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কমান্ডার মঈন এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে অনুরোধ জানাব- আপনারা যা করবেন জেনেশুনে, বুঝে করবেন। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে না জেনে না বুঝে কোনো ধরনের লাইক, কমেন্টস করবেন না, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়- এমন কিছু করবেন না। কারণ আপনাদের লাইক, শেয়ার, কমেন্টস কিংবা ভিডিও কনটেন্ট প্রচারে আরও অনেক মানুষ বিভ্রান্ত হবে৷ অনেক ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়বে৷
তিনি বলেন, একটি চক্র জেনেশুনেই প্রচার করছে। আবার কেউ কেউ স্বার্থ হাসিলের জন্য ভিডিও কনটেন্ট শেয়ার ও প্রচার করছে। এ ধরনের বেশকিছু পেজের অ্যাডমিনকে শনাক্ত করা হয়েছে, যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে লাইক, কমেন্টস ও শেয়ার দিচ্ছেন, তাদেরও শনাক্ত করেছি। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
কুমিল্লার ঘটনায় মূল যে কালপ্রিট, তাকে র্যাব গ্রেফতারের খুব কাছাকাছি আছে জানিয়ে সংস্থাটির গণমাধ্যম শাখার এই পরিচালক বলেন, র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। যারা মিথ্যা তথ্য সংবলিত কনটেন্ট, ভিডিও ও গুজব প্রচার করছে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিচ্ছে বা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে, তারা যে শ্রেণিরই লোক হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, অভিযান চলছে।