ভারতে আঘাতের পর দুর্বল হয়ে পড়ছে ‘তিতলি’
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১১, ২০১৮
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ বৃহস্পতিবার ভোরে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশ ও উড়িষ্যার মাঝামাঝি এলাকায় আঘাত হেনেছে। এটি স্থলভাগ দিয়ে উপরের দিকে সরতে সরতে দুর্বল হয়ে পড়ছে। আর তাই বাংলাদেশে এর কোনো বড় প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
ঘূর্ণিঝড় তিতলির আঘাতে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীককুলাম জেলার পলাসায় দুইজন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এদিকে তলির প্রভাবে উপকূলীয়সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হবে। কাল শুক্রবারও এর প্রভাবে বৃষ্টি হতে পারে বলে আবাস দিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র প্রভাবে চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারে ৪ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অন্ধ্র-উড়িষ্যা উপকূলে ‘তিতলি’র তাণ্ডবের খবর দেয় স্থানীয় ও কলকাতাভিত্তিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
আবহাওয়া দফতর আরো জানায়, অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীকাকুলামে আঘাত হানার সময় ‘তিতলি’র গতিবেগ ছিল ঘণ্টা ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত। উত্তরের দিকে এসে উড়িষ্যায় আছড়ে পড়ার সময় এর তীব্রতা কিছুটা কমে, সেসময় এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০২ কিলোমিটার পর্যন্ত।
দুযোর্গের কারণে জরুরি বৈঠকে বসেছেন ওড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। গঞ্জাম, পুরী, খুরদা, কেন্দ্রাপড়া ও জগৎসিংহপুর থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ওড়িষ্যার চার জেলার স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তিতলির প্রভাবে শুক্রবার গঞ্জাম, গজপতি, পুরী, জগৎসিংহপুর, কেন্দ্রাপড়া, খুরদা, নয়াগড়, কটক, জাজপুর, ভদ্রক ও বালেশ্বরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবারও ওড়িষ্যার উপকূলবর্তী কিছু এলাকায় হালকা বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
এদিকে সকাল ৭টায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এটি আরও উত্তর/উত্তর-পশ্চিম অগ্রসর হয়ে পরবর্তী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে। ওডিশা থেকে দুর্বল হয়ে তিতলি বাংলাদেশের দিকে আসবে।