ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ছয় বছরে সবচেয়ে কম পশু কোরবানি

এবার মোট ৯০৯৩২৪২ পশু কোরবানি, করোনার প্রভাবে অর্থ সংকট, বিক্রি বেড়েছে অনলাইনে

তোফাজ্জল হোসেন
🕐 ৯:১৮ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৫, ২০২১

ছয় বছরে সবচেয়ে কম পশু কোরবানি

করোনাভাইরাসের প্রভাবে অর্থ সংকট থাকায় অনেকেই এবার কোরবানি দিতে পারেননি। ফলে ২০১৬ সালের পর এবারই সবচেয়ে কম পশু কোরবানি হয়েছে। এবারের ঈদুল আজহায় সারা দেশে ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে। যার মধ্যে ৪০ লাখ ৫৩ হাজার ৬৭৯টি গরু-মহিষ, ৫০ লাখ ৩৮ হাজার ৮৪৮টি ছাগল-ভেড়া ও অন্যান্য ৭১৫টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে।

গতকাল শনিবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর হাট এবং অনলাইন মিলিয়ে মোট ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে। অবিক্রীত থেকে গেছে ২৮ লাখ ২৩ হাজার ৭৫৮টি পশু। এদিকে আবার যারা আগে একাই কোরবানি দিতেন, এবার তারা ভাগে দিয়েছেন। এ জন্য গরুর চাহিদা কম ছিল। শুরুর দিকে যেসব ব্যবসায়ী অল্প দামে গরু ছেড়ে দিয়েছেন, তারা লোকসানে পড়েননি। আর যারা বেশি দামের আশায় গরু রেখে দেন, তাদের বিপুল অঙ্কের টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে। রাজধানীর পশুর হাটে মূলত মাঝারি ও বড় গরুর চাহিদা বেশি থাকে। কিন্তু এ বছর মাঝারি গরুর চাহিদা কিছুটা থাকলেও বড় গরু তেমন বিক্রিই হয়নি।

২০১৪ সালে ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের পর বৈধ পথে দেশে গরু আমদানি করা বলতে গেলে বন্ধ হয়ে যায়। এ সংকট মোকাবিলায় বাড়তি পদক্ষেপ নেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের কারণে ২০১৬ সালেই কোরবানির পশুর সংখ্যা প্রথমবারের মতো ১ কোটি ছাড়িয়ে যায়। ওই বছর ১ কোটি ৫ লাখ পশু কোরবানি হয়। ২০১৭ সালে ১ কোটি ৪ লাখ গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়ার সঙ্গে হাজারখানেক দুম্বা, উট ও গয়াল কোরবানি হয়। ২০১৮ সালে ১ কোটি ৫ লাখ পশু কোরবানি হয়। ২০১৯ সালে কোরবানি হয় ১ কোটি ৬ লাখ পশু। ২০২০ সালে করোনাকালে কোরবানির সংখ্যা কমে যায়। ওই বছর ৯৪ লাখ ৫০ হাজার পশু কোরবানি হয়। চলতি বছর দেশে কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৯ লাখ ১৭ হাজার।

করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে এ বছর অনলাইন প্ল্যাটফর্মে গবাদিপশু ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম গ্রহণ করে সরকার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আইসিটি বিভাগসহ অন্যান্য দফতর-সংস্থা, জেলা-উপজেলা প্রশাসন, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ অন্যান্য বেসরকারি সংগঠন ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে গবাদিপশুর ডিজিটাল হাট পরিচালনা করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে এ বছর অনলাইনে মোট ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫৭৯টি গবাদিপশু বিক্রি হয়েছে, যার আর্থিক মূল্য ২ হাজার ৭৩৫ কোটি ১১ লাখ ১৫ হাজার ৬৭৮ টাকা। গতবছর অনলাইন প্ল্যাটফর্মে গবাদিপশু বিক্রয় হয়েছিল ৮৬ হাজার ৮৭৪টি যার আর্থিক মূল্য ছিল ৫৯৫ কোটি ৭৬ লাখ ৭৪ হাজার ৭৪ হাজার ৮২৯ টাকা। গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় ৫ গুণ বেশি গবাদিপশু অনলাইনে বিক্রি হয়েছে। আগামী বছর অনলাইন প্ল্যাটফর্মে গবাদিপশু ক্রয়-বিক্রির পরিসর আরও বাড়ানো হবে বলে জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ।

 
Electronic Paper