হাফিজুরের অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ এলএসডি হতে পারে: পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৬:১১ অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০২১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডির সন্ধান পেয়েছে ডিবি পুলিশ। হাফিজুরের মৃত্যু এলএজডি সেবনের কারণে হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। এই মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-সাদমান সাকিব ওরফে রুপল, আসহাব ওয়াদুদ ওরফে তুর্য ও আদিব আশরাফ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গতকাল বুধবার (২৭ মে) বাংলাদেশে প্রথম আমরা এলএসডি উদ্ধার করেছি। এ ঘটনায় তিন তরুণকে গ্রেফতার করার পর তাদের কাছ থেকে গাঁজার কেক তৈরি ও বিক্রির তথ্য পাওয়া যায়। তবে এই কেক উদ্ধার করা যায়নি।
ডিবি জানতে পারে, ‘বেটার ব্রাওরি অ্যান্ড বেয়ন্ড’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ খুলে সেখানে গাঁজা পাতার নির্যাস দিয়ে কেক বানিয়ে মাদক হিসেবে বিক্রি করতো। এই গ্রুপে প্রায় এক হাজার সদস্য।
এদিকে, ডিবির অভিযানে গ্রেফতার তিনজনের কাছ থেকে নতুন মাদক এলএসডির ২০০টি ব্লট উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি ব্লটের মূল্য ৩-৪ হাজার টাকা। গ্রেপ্তারকৃত সাদমান ডিবির কাছে দাবি করেন, ‘আপনার আব্বা’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ খুলে সাদমানসহ তাদের তিন বন্ধু সেখান থেকে এলএসডি বিক্রি করতো।
ডিবি বলছে, সম্প্রতি হাফিজুর রহমান নামে ঢাবি শিক্ষার্থী ‘মৃত্যু’র ঘটনায় ডিবি তদন্ত শুরু করে। হাফিজের বন্ধুরা বলছে, হাফিজ একটি নতুন ও অদ্ভুত মাদকে আসক্ত ছিল। এরপরই এলএসডির বিষয়ে তথ্য পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ বলেন, ‘আমরা আত্মহত্যা করা হাফিজুরের মরদেহের ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়ার পর বলতে পারবো, তিনি এলএসডিতে আসক্ত ছিলেন কি-না?’
ঈদের পর দিন ১৫ মে জরুরি কাজের কথা বলে ঢাকার রওনা হয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা গ্রামের ইমাম মুজিবুর রহমানের ছেলে হাফিজুর। তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। আট দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার লাশ শনাক্ত করে পরিবার।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে শাহবাগ থানার ওসি মামুন অর রশিদ বলেছিলেন, ১৫ মে রাত পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে ডাব বিক্রেতার কাছ থেকে দা নিয়ে নিজের গলা নিজেই কাটতে থাকেন হাফিজুর। আর বলছিলেন- 'আমাকে মাফ করে দাও'।