ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বেড়েছে ফলের চাহিদা, লাফিয়ে বাড়ছে দামও

তুষার আহসান
🕐 ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২১

বেড়েছে ফলের চাহিদা, লাফিয়ে বাড়ছে দামও

এবার রমজান গ্রীষ্মের প্রথমেই পড়ায় রোজাদারদের প্রাণ শুকিয়ে কাঠ। ফলে শরীর সতেজ রাখতে ধর্মপ্রাণ মুসলমান কষ্ট হলেও ফলের দিকে ঝুঁকছেন। গরমের তীব্রতায় ইফতারে ফলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বাড়ছে লাফিয়ে। এদিকে চলছে লকডাউন। এমন পরিস্থিতিতে ক্রেতারা ফলের বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন।

অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম গতবারের মতোই আছে। তাছাড়া লকডাউনে পণ্য আনা-নেওয়ার ঝামেলাও আছে। খচর বেড়েছে। তাই ফলের দামেও সামান্য আঁচ লেড়েছে। এ বছরে রোজা শুরু হয়েছে একেবারে বৈশাখেই। গ্রীষ্মের তেজও এ বছর যেন বেশি। ফলে রমজানে রোজাদারদের পানিশূন্যতা, লবণ শূন্যতা ও বদহজম যেন না হয়, সেদিকে নজর দিতে হচ্ছে বেশি।

লম্বা সময় রোজা রাখার পর দিনশেষে তাই ভাজাপোড়া ইফতার পরিহার করছেন বেশিরভাগ রোজাদারই। অনেকেই ঝুঁকছেন ফলমূলের দিকে। তাই বিকেল হতেই ফলের বাজারে ভিড় বাড়ছে। বলা হয়, ফলমূল দিয়ে সাজানো প্লেটই আদর্শ ইফতার। কিন্তু স্বস্তি নেই ফলের বাজারেও!

রমজানে চাহিদা বাড়ায় প্রতিটি ফলের দামই অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন কঠোর লকডাউনের কারণে সরবরাহ কম। বাইরে থেকে ফলের গাড়ি আসতে পারছে না। আমদানি প্রায় নেই বললেই চলে। তাই দামও বেশি।

কাঁটাবন কাঁচাবাজার সংলগ্ন ফলপট্টির এক ব্যবসায়ী বলেন, রমজানের প্রথম দিন থেকেই কঠোর লকডাউন। বাজারে ফলের সরবরাহ অন্যান্য যে কোনো সময়ের চেয়ে কম। আর রোজার কারণে এখন ফলের চাহিদাও বেশি। তাই প্রতিটি ফলের দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।’ ফার্মগেটে মাঝে মধ্যে ফল নিয়ে বসছেন কেউ কেউ। তারা বলেন, মৌসুমি ফলের চাহিদাই এখন বেশি।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া, শ্যামলী ঘুরে দেখা যায়, বাজারে পর্যাপ্ত তরমুজ, আনারস, পেয়ারা ও বাঙ্গিসহ অন্যান্য দেশি ফল রয়েছে। কিন্তু দাম আকাশছোঁয়া! তরমুজও এখন সাধারণ ক্রেতাদের হাতের নাগালের বাইরে। এক মাসের বেশি সময় থেকে বাজারে তরমুজ উঠছে। অথচ আকার ভেদে মাঝারি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা পর্যন্ত।

 

 
Electronic Paper