ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

দুদক যথেষ্ট শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান: ইকবাল মাহমুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৩:৫৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ০৮, ২০২১

দুদক যথেষ্ট শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান: ইকবাল মাহমুদ

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুদক যথেষ্ট শক্তিশালী একটি প্রতিষ্ঠান। দুদকের যে আইন আছে তা দিয়ে দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব। তবে এ ক্ষেত্রে জনগণের সহযোগিতা লাগবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

সোমবার (৮ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে ইকবাল মাহমুদ এসব কথা বলেন। দুদকের চতুর্থ চেয়ারম্যান হিসেবে মঙ্গলবার (৯ মার্চ) তার মেয়াদ শেষ করবেন।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘দুদক সমাজের প্রতিক্ষেত্রে একটি বার্তা দিতে পেরেছে যে, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তবে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা আমাদের কাছে ছিল সেটি পূরণ করতে পারিনি। ১৯৭১ সালের মতো সবাই একত্রিত হয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারলে জনগণের এ প্রত্যাশা পূরণ করতে পারতাম।’

চাপের সম্মুখীন হয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো কাজে চাপ অনুভব করিনি। কোনো মন্ত্রী-এমপি এখানে তদবির করতে আমার দায়িত্ব পালনের পাঁচ বছরে আসেনি। তবে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি। এটি বলতে গেলে আমার নিজস্ব চাপ ছিল। সরকার কিংবা অন্য কোনো চাপে আমি এমনটি করিনি। কারণ সবার আগে আমি রাষ্ট্রকে প্রধান্য দিই।’

দুদকের দুর্বলতার জায়গার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘মামলার তদন্ত করার মতো যোগ্য কর্মীর দুদকে অভাব রয়েছে। এখানকার কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ঘাটতি রয়েছে। এখানে আরও জনবল দরকার। আমাদের চেষ্টা ছিল শতভাগ মামলায় সাজা দেওয়ার। তার পরও আমাদের ২০২০ সালে ৭৭ শতাংশ মামলায় সাজা হয়েছে। ২০১৯ সালে যা ছিল ৬৩ শতাংশ।’

ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘আমরাও একদমই স্বাধীন নই। আমাদের ওপরে আদালত রয়েছে। সেখানে আমাদের জবাবদিহি করতে হয়। একটি মামলার রিপোর্ট দিলেই হবে না। যদি সেটি আদালতে প্রমাণ করতে না পারি। তবে প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা থাকবেই। সমালোচনা হচ্ছে অলঙ্কার।’
মানিলন্ডারিংয়ের ক্ষেত্রে তিনি বলেন, ‘সবাইভাবে সব ধরনের মানিলন্ডারিং দুদকের কাজ। একটি সময় আমাদের দায়িত্ব ছিল এটি। এখন আমরা ঘুষ গ্রহণ থেকে যে মানিলন্ডারিং হয় সেটি তদন্ত করি।’

২০১৬ সালের ১০ মার্চ দুদক চেয়ারম্যান হিসেবে তৎকালীন চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামানের স্থলাভিষিক্ত হন ইকবাল মাহমুদ।

 
Electronic Paper