মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ‘অনিয়ম’ মানতে নারাজ অধিদফতর
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ০৫, ২০২১
দেশের মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলোর ঢালাওভাবে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়টি মানতে নারাজ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, বেশিরভাগ মাদক নিরাময় কেন্দ্রের অবস্থাই ভালো। তাছাড়া, এগুলো নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। কোনো ধরনের অনিয়ম পাওয়া গেলে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানানো হয়।
বিভিন্ন অনিয়ম প্রসঙ্গে অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলেন, দেশে সাধারণত দুই ক্যাটাগরির মাদক নিরাময় কেন্দ্র রয়েছে। এক ধরনের কেন্দ্রে উচ্চবিত্ত সন্তানদের সেবা দেওয়া হয়। সেগুলোর অবস্থা ভালো। আর কিছু মধ্যম ক্যাটাগরির আছে, যেখানে মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্তদের খুবই কম মূল্যে সেবা দেওয়া হয়। সে কেন্দ্রগুলোতে চাইলেই উচ্চ বেতনের সার্বক্ষণিক চিকিৎসক রাখা সম্ভব হয় না। তবে কয়েকটি কেন্দ্র মিলিয়ে একজন ডাক্তার থাকেন। যিনি নিয়মিত কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন, আমরা সেগুলো মনিটরিং করি।
সম্প্রতি রাজধানীর মালিবাগে হলি লাইফ মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে এক ব্যক্তির মৃত্যুর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আহসানুল জব্বার বলেন, আদাবরের একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে এর আগে পুলিশের একজন এএসপি নিহত হন, বিষয়টির তদন্ত চলমান। এছাড়া মালিবাগের হলি লাইফ মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে নিহত হওয়া ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানতে পেরেছি। এ বিষয়েও তদন্ত চলমান।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ৯টি মাদক নিরাময় কেন্দ্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। যেসব মাদক নিরাময় কেন্দ্রে অন্যায় পাওয়া যাবে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অস্ত্র ও মোবাইল ট্র্যাকার প্রয়োজন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিজি বলেন, আমরা অস্ত্রের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। সাধারণত যারা মাদক কারবারি তারা ভয়ঙ্কর হয়। এরা অনেক সময় আমাদের ওপর অস্ত্র প্রয়োগ করেছে। এই ধারাবাহিকতায় আমরা এখন অনুধাবন করছি যে আমাদের অস্ত্রের প্রয়োজন রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবের তত্ত্বাবধায়নে একটি কমিটি রয়েছে। এ কমিটি এখন বিচার-বিশ্লেষণ করছে কীভাবে কী উপায়ে আমাদের অস্ত্র দেওয়া হবে। এছাড়া আমাদের অবশ্যই মোবাইল ট্র্যাকার প্রয়োজন। খুব সহজে এর সাহায্যে আমরা অপারেশন চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে পারবো।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক ব্যবসার প্রবণতা রয়েছে। সে জন্য এখানে আমাদের অভিযান চালাতে বলা হয়েছে।
অধিদফতরের কর্মরত মাদকাসক্তদের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে একটি বিধিমালা তৈরি হচ্ছে। বিধিমালাটি তৈরি হলে এ বিষয়ে বিস্তারিত কাজ করা যাবে। তবে আমাদের একজন সদস্যকে ডোপ টেস্ট পজিটিভ পেয়েছিলাম, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ কার্যক্রম চলমান।