বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত এইচটি ইমাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৭:০৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ০৪, ২০২১
বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হোসেন তৌফিক (এইচটি) ইমাম। বীর মুক্তিযোদ্ধা এইচটি ইমাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় তার দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে তাকে সেখানে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
এদিন বাদ আছর গুলশান আজাদ মসজিদে এইচটি ইমামের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে এইচটি ইমামের ছেলে তানভীর ইমাম এমপি, আত্মীয়-স্বজন, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরাসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা ও এইচটি ইমামের সাবেক ও বর্তমান সহকর্মীরা অংশ নেন।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এইচটি ইমামের মরদেহ শহীদ মিনারে নিয়ে আসা হয়। তার মরদেহে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। তাদের নিবেদন শেষে সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
এইচ টি ইমামের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগসহ সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও ব্যক্তি পর্যায়ের মানুষ এবং বিভিন্ন সংগঠনের তরফ থেকে এইচ টি ইমামের কফিনে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এর আগে এদিন উল্লাপাড়া সরকারী আকবর আলী কলেজ মাঠে তার প্রথম জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় উল্লাপাড়ার তার নিজ গ্রাম সোনতলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হেলিকপ্টারযোগে তার মৃতদেহ আনা হয়। উল্লাপাড়ায় জানাজা নামাজ শেষে দুপুরের দিকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা হয়।
এইচ. টি ইমাম আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। ২০০৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ সালে জনপ্রশাসন-বিষয়ক উপদেষ্টা এবং ২০১৪ সাল থেকে আমৃত্যু প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির দুইবার কো-চেয়ারম্যান এবং প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
এইচ. টি ইমাম দীর্ঘদিন যাবত কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। তিনি দুই সপ্তাহ আগে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হন। বুধবার (৩ মার্চ) দিবাগত রাত ১টা ১৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই কর্মবীর মারা যান।