সীমান্তে অপরাধ, মৃত্যু না হওয়াই উদ্দেশ্য: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৪:২৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ০৪, ২০২১
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘আমাদের যৌথ উদ্দেশ্য সীমান্তে কোনো অপরাধ, মৃত্যু না হওয়া। আমি নিশ্চিত যে, আমরা যদি এটি সঠিকভাবে অর্জন করতে পারি তবে কোনো মৃত্যু হবে না। আমরা একসাথে এই সমস্যাটিকে কার্যকরভাবে সমাধান করতে পারি।’ বৃহস্পতিবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জয়শঙ্কর বলেন, দুই দেশ সমস্যাটি সম্পর্কে জানে এবং সমস্যাটি অপরাধের কারণে হয়। বৈঠকে দু'দেশই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে।
তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। খুব শিগগির আমাদের সচিবদের বৈঠক রয়েছে। আমি নিশ্চিত, তারা এ বিষয়ে পরবর্তী আলোচনা চালিয়ে নেবেন। আমি মনে করি, আপনারা এক্ষেত্রে ভারত সরকারের অবস্থান জানেন, যা এখনো পরিবর্তন হয়নি।’
দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক রূপান্তর হচ্ছে। এ জন্য আমাদের সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। যে বিষয়গুলো অমীমাংসিত রয়েছে, সেগুলো নিয়েও কথা হয়েছে। সম্প্রতি আমাদের মধ্যে যে অগ্রগতি হয়েছে, সেটি পর্যালোচনা করেছি।’
‘এমন কোনো ক্ষেত্র নেই, যেখানে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি না। যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, ৫০ বছর পার হয়েছে গেছে এবং পরের ২০ বছর কী করা যেতে পারে, আমি বলব সংযুক্তি। আমাকে আপনাদের প্রধানমন্ত্রী উদ্ধৃত করে বলেছেন যে সংযুক্তি হচ্ছে উৎপাদনশীলতা। যদি আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সংযুক্তি ঠিকমতো করতে পারি, তবে এই অঞ্চলের সামগ্রিক ভূ–অর্থনীতি পরিবর্তিত হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে বঙ্গোপসাগর খুব কার্যকর। আমরা দুই পক্ষই বিশ্বাস করি, এটি করা সম্ভব’, বলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে সকাল সাড়ে ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় শুরু হওয়া বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর নিজ নিজ দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন।
সকালে জয়শঙ্কর ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে দিল্লি থেকে ঢাকায় পৌঁছান। ঢাকায় বিএএফ বঙ্গবন্ধু ঘাঁটিতে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।