পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত বলেন, মুন্নার বাবা মারা যাওয়ার সম্পত্তি ও টাকা-পয়সার জন্য মায়ের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো। তাই পরিকল্পনা করে মা মমতাজকে হত্যা করেন তিনি। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেন চাচা ও এক বন্ধু।

তিনি বলেন, গত ২১ জানুয়ারি দুপুরে গলায় রশি পেঁচিয়ে মমতাজ বেগমকে হত্যা করেন তারা। এরপর লাশ বস্তাবন্দী করে প্রথমে খাটের নিচে লুকিয়ে রাখেন। পরে রাতে পুকুরে লাশ ডুবিয়ে দেন। আর ২৫ জানুয়ারি মিরপুর থানায় অপহরণ হয়েছে বলে জিডি করেন মুন্না।

পুলিশ সুপার জানান, এর কয়েক দিন পর মমতাজের মেয়ের জামাই সেকেন্দার আলীর ফোন দিয়ে তার সন্ধান দেয়া হবে বলে জানায় এক ব্যক্তি। পুলিশ অনুসন্ধান করে জানতে পারে নম্বরটি মুন্নার বন্ধু রাব্বির। পরে তাকে আটক করা হয়। এরপর মুন্না ও তার চাচাকে আটক করা হয়। 

এ ঘটনায় মিরপুর থানায় হত্যা মামলা করা হলে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় বলেও জানায় পুলিশ।