‘বাংলাকে দাপ্তরিক ভাষা করতে আপত্তি নেই জাতিসংঘের’
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৫:১০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১
বাংলাকে দাপ্তরিক ভাষা করার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের কোনো আপত্তি নেই কিন্তু অনেক টাকা লাগবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। রবিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘টাকার জন্য আটকে আছে। আমরা টাকার দেওয়ার অঙ্গীকার করতে পারিনি। অনেক টাকা। প্রাথমিক আলোচনায় প্রতি বছর ৬০০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।’
মোমেন বলেন, ‘ভাষাভাষীর দিক থেকে বাংলা পঞ্চম বৃহত্তম ভাষা। প্রায় ৮৭ কোটি লোক এই ভাষায় কথা বলে। বাংলাকে দাপ্তরিক ভাষা করার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের কোনো আপত্তি নেই।’
‘বলছে, তোমাদের বাংলা চালু করলে তো খরচ হবে, খরচটা কে দিবে? তোমরা যদি দাও তাহলে তোমরা সদস্য রাষ্ট্রকে বল, তাহলে অসুবিধা নাই’, যোগ করেন তিনি।
মোমেন বলেন, জাপানি, হিন্দি ও জার্মান ভাষার জন্যও প্রস্তাব করা হয়েছিল। একই কারণে সেগুলোও দাপ্তরিক ভাষা হয়নি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৯ সালে দিবসটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মর্যাদা লাভ করে। রফিক ও সালাম নামে দুই প্রবাসীর চেষ্টায় প্রস্তাবটি জাতিসংঘ হয়ে ইউনেস্কোয় আসে। পরে সদস্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রস্তাব পাঠানোর কথা এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেন। সব মাতৃভাষাকে সংরক্ষণ বিকাশে দিবসটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি পায়।’
মোমেন আরও বলেন, ‘শান্তি বজায় রাখার সংস্কৃতি বাংলাদেশ বিশ্বাস করে। রোহিঙ্গা ইস্যু ও অপরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনে আমরা বিশ্বাসী। আমাদের এখানকার মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি শান্তি প্রতিষ্ঠার সংস্কৃতিকে বিশ্বাস করে। সারা বিশ্বের মানুষকে এই যাত্রায় শামিল হতে আমরা আহ্বান জানাই।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, একাডেমির রেক্টর মাসুদ মাহমুদ খন্দকার প্রমুখ। সেখানে তৈরি অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কূটনীতিকরা।