ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

১১৯ কর্মদিবসে বিচারকাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১১:০১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা প্রসঙ্গে আদালত বলেছেন, দীর্ঘদিন পর এ মামলার বিচারের শেষদিকে আমরা এসেছি। এ মামলার বিচারে কোনো ফাঁক রাখার চেষ্টা করিনি। কখনো কারও অধিকারবঞ্চিত করিনি। বিচারকাজ আজ (মঙ্গলবার) শেষ হচ্ছে। আমাকে একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে।

১১৯ দিবস যুক্তিতর্কের পর গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালত আরও জানান, আগামী ১০ অক্টোবর মামলাটির রায় ঘোষণা হবে। যুক্তি উপস্থাপনকালে এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ৪১ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
সরকারি কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব শেষ করে দেওয়ার জন্য এ হামলা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তারা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী এস এ এম শাহজাহান বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই। সন্দেহের ভিত্তিতে কাউকে সাজা দেওয়া যায় না। সাজা দেওয়ার মতো কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই।
এ মামলায় মোট সাক্ষী করা হয় ৪৯১ জনকে। এর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ২২৫ জনের সাক্ষ্য উপস্থাপন করেছে। আসামিপক্ষে হাজির করা হয় ১২ জন সাক্ষী। এ মামলায় ১৮ জন পলাতক রয়েছেন। তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ চলছে।
এর আগে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে তারেক, বাবর, পিন্টুসহ ৪১ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন। তাদের বিরুদ্ধে মানুষ হত্যা, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা, পরিকল্পনা ও সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে। বাকি আটজনের বিরুদ্ধে আনা হয় কর্তব্যে অবহেলা, আলামত নষ্ট, তদন্ত ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা এবং আসামিকে দেশত্যাগের সহযোগিতা করার অভিযোগ। তাদের মধ্যে রয়েছেন তিনজন সাবেক আইজিপিসহ পাঁচজন পুলিশ কর্মকর্তা ও তিনজন তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সিআইডির সাবেক কর্মকর্তা। এ আটজনের পাঁচ থেকে সাত বছর কারাদণ্ড দাবি করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

 
Electronic Paper