আইডিএসইবি’র চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির তুষারের মৃত্যুতে শোকসভা ও মিলাদ মাহফিল
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৩:৪৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০২১
ভূমি ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নে নিবেদিত ছিলেন ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা সার্ভে ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিএসইবি)’র চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির তুষার। তিনি সংগঠনের সদস্যদের অধিকার আদায়ে মৃত্যুর আগ মুহুর্ত পর্যন্ত কাজ করেছেন। তার অকাল মৃত্যুতে দেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাকে হারালো। আজ ২২ জানুয়ারী, শুক্রবার রাজধানীর বিজয়নগরস্থ আইডিএসইবি’র কার্যালয় চত্ত্বরে আয়োজিত শোকসভা ও মিলাদ মাহফিলে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সংগঠনের নেতারা এসব কথা বলেন।
আইডিএসইবি’র মহাসচিব মাঈনুল হক চৌধুরী দুলালের সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন সংগঠনের ভাইস-চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান, বেলাল হোসেন, সোহেল মিয়াজি ও মো. কামাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক নঈমূল ইসলাম ও ইকবাল হোসেন টিটু, যুগ্ম মহাসচিব মো. মিরাজ হোসেন, মো. ইসমাইল হোসেন, মো. আরিফ হোসেন, সরদার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মাহমুদুল হাসান, হামিদুল ইসলাম রিগান ও তরিকুল ইসলাম, কানুনগো সমিতির মহাসচিব মো. সেলিম মিয়া, ড্রাফসম্যান সমিতির সভাপতি ফকির শামসুল প্রমূখ।
শোকসভায় বক্তারা বলেন, নেতা-কর্মীদের প্রিয়পাত্র হুমায়ুন কবির তুষারের মৃত্যুতে আইডিএসইবি পরিবার গভীরভাবে মর্মাহত ও শোকাভিভূত। তিনি সংগঠনের সদস্যদের অধিকার আদায়ের পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সবসময় সক্রিয় ছিলেন। বিশেষ করে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনায় ভূমি একটি জটিল বিষয়। সেটাকে নিজের কর্মদক্ষতার গুণে সহজ করে ফেলতেন। সদালাপী এই মানুষটি নিজে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অন্যদের দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ করতেন। তার অকাল মৃত্যুতে এক অপুরণীয় ক্ষতি হলো বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।
বক্তারা হুমায়ুন কবির তুষারের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। একইসঙ্গে তার শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেন। সভায় তুষারের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান ও তার নামে একটি ফাউণ্ডেশন গঠনের প্রস্তাব করা হয়।
উল্লেখ্য, পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার কনকদিয়া স্যার সলিমুল্লা স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জালালা মিয়ার ছোট সন্তান হুমায়ুন কবির তুষার মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কানুনগো হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ১৮ জানুয়ারি অফিস থেকে ফেরার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার অকাল মৃত্যুতে আইডিএসইবি’র সংগঠনের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।