ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন সংশোধন জরুরি

ঢাকা আহছানিয়া মিশনের মতবিনিময়

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১২:২১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০২১

তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন সংশোধন জরুরি

তামাক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও কিছু ক্ষেত্রে আশানুরূপ অগ্রগতি হয়নি। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অন গ্লোবাল টোব্যাকো এপিডেমিক ২০১৯ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ এবং তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে এখনো সর্বোত্তম মান অর্জন করতে পারেনি। এ জন্য বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন প্রয়োজন বলে জানানো হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শ্যামলীতে ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের প্রধান কার্যালয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন সংশোধন বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন বক্তারা।

ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের সহকারী পরিচালক ও প্রকল্প সমন্বয়কারী (তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প) মো. মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ ২০৪০ গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও করণীয়’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের গ্র্যান্টস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া, বাংলাভিশনের সিনিয়র নিউজ এডিটর রুহুল আমিন রুশদ ও ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের কমিউনিকেশনস অফিসার সরকার শামস বিন শরীফ।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন রহমান মতবিনিময় সভায় জনস্বাস্থ্য ও জীবন রক্ষায় বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে একটি সচিত্র বর্ণনা (প্রেজেন্টেশন) উপস্থাপন করেন।

মতবিনিময় সভায় ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের গ্র্যান্টস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া বলেন, বিশ্বজুড়ে প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর প্রধান আটটি কারণের ছয়টির সাথেই তামাক জড়িত। বাংলাদেশে প্রতি বছর ১ লাখ ৬১ হাজারেরও বেশি মানুষ কেবল তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার জনিত রোগে মৃত্যুবরণ করে। অথচ এটি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন ততটা নই যতটা হওয়া উচিত ছিল। গণমাধ্যমকর্মীরাই পারেন মানুষের মাঝে এ ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করতে। তিনি এ জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা রাখার আহবান জানান।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের সহকারী পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সরকার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি)-এর আলোকে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ প্রণয়ন করে। ২০১৩ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হয় এবং এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। তবে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি এফসিটিসির সাথে অনেকাংশে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলেও কিছু জায়গায় দুর্বলতা রয়েছে। জনস্বাস্থ্য, বিশেষ করে কিশোর ও তরুণদের জন্য নতুন হুমকি ই-সিগারেটের মতো ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আইনে কিছু বলা নেই।

বাংলাভিশনের সিনিয়র নিউজ এডিটর রুহুল আমিন রুশদ বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে আমরা যদি চলি ডালে ডালে তবে তামাক কোম্পানিগুলো চলে পাতায় পাতায়। এ কারণে আমরা দেখি তারা নানাবিধ প্রচার চালিয়ে মানুষকে ধূমপানে উৎসাহিত করার কাজ করে। এ বিষয়ে আইন সংশোধন করে এর কঠোর প্রয়োগ প্রয়োজন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ২০১৩ সালে তামাকবিরোধী আইন করার সময় গণমাধ্যমগুলো যেভাবে দারুণ ভূমিকা রেখেছিল, এবারও আইন সংশোধন করার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের জোরালো ভূমিকা থাকবে।

 
Electronic Paper