ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পাটকলের পর এবার চিনিকল বন্ধ

জেলা প্রতিনিধি
🕐 ৩:৫৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৫, ২০২০

লোকসান কমাতে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের পর এবার রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আখের ভরা মৌসুমে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ১৫ চিনিকলের মধ্যে ৬টি বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বন্ধ হওয়ায় চিনিকলগুলো হল- রংপুর সুগার মিল, পঞ্চগড় সুগার মিল, শ্যামপুর সুগারমিল, পাবনা সুগার মিল, সেতাবগঞ্জ সুগারমিল ও কুষ্টিয়া সুগার মিল। এসব চিনিকল বন্ধ হলেও শ্রমিকদের বেতন-ভাতা চালু থাকবে।

 

বিএসএফআইসির চেয়ারম্যান সনৎ কুমার সাহা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চিনিকলগুলো লোকসান দিয়ে যাচ্ছে। এজন্য নতুন করে সংস্কার ও আধুনিকায়নে চিনিকল সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

চিনিকলগুলো বন্ধ রাখতে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) পক্ষ থেকে চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে বৃহস্পতিবার চিঠি পাঠানো হয়। চিঠির বিষয়ে কয়েকজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, চিঠিতে মিল সংস্কার ও আধুনিকায়নের কথা বলা হয়নি। মিল বন্ধ রাখলে কয়েক কোটি টাকা লোকসান কমানো সম্ভব, তা উল্লেখ রয়েছে।

আখের ভরা মৌসুমে রাষ্ট্রায়ত্ত ১৫ চিনিকল চালু থাকলেও বছরের প্রায় ১০ মাস বন্ধ থাকে। এতে বছরে পর বছর লোকসান গুনতে হয় সরকারকে। এয়াড়াও বাজারে দেশি চিনি কমবেশি প্রতি কেজি ৭০ টাকায় পাওয়া যায়। আর সরকারের প্রতি কেজি চিনি উৎপাদনে কমবেশি ৩০০ টাকা ব্যয় হচ্ছে। চিনির উৎপাদন ব্যয়ের সঙ্গে বিক্রির দামে বিশাল ফারাক।

বিএসএফআইসির তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রায়ত্ত ১৫টি চিনিকলে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৯৭০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। গত পাঁচ বছরে জমতে থাকা লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৯৭৬ কোটি টাকা।

 
Electronic Paper