ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বাড়ছে করোনা আক্রান্ত হাসপাতালে কমছে শয্যা

আরিফ শাওন
🕐 ৯:০৩ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ০১, ২০২০

শীত এলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে— এমন ধারণা বিশেষজ্ঞদের আগে থেকেই ছিল। সে হিসেবে নভেম্বরের শুরুতেই আক্রান্তের হার বেড়ে গেছে। বাড়ছে মৃত্যুও। যা এখনো চলমান। এতে বাড়ছে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও। ফলে দিন দিন কমছে হাসপাতালের খালি শয্যার সংখ্যা। সাধারণ শয্যার সঙ্গে সঙ্গে কমছে আইসিইউ শয্যাও। চট্টগ্রামসহ সারা দেশে খুব একটা না কমলেও রাজধানী ঢাকায় খালি শয্যা বেশ কমছে। জানা গেছে, ঢাকায় ১৯টি হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য ৩ হাজার ৫১৯টি সাধারণ ও ৩০৫টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। চট্টগ্রামের ১০টি হাসপাতালে রয়েছে ৭৭০টি সাধারণ ও ৩৯টি আইসিইউ শয্যা। এছাড়া সারা দেশে অন্যান্য হাসপাতালে ৭ হাজার ১৬৪ টি সাধারণ ও ২২১টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। সব মিলিয়ে সারা দেশে মোট ১১ হাজার ৪১৮টি সাধারণ ও ৫৫৫টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। 

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমারজেন্সি অ্যান্ড অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ১৫ নভেম্বর ঢাকায় সাধারণ শয্যা খালি ছিল ১ হাজার ৬৪৯টি ও আইসিইউ ১১৫টি। ২৭ নভেম্বর সাধারণ শয্যা খালি ছিল ১ হাজার ৩০৯টি ও আইসিইউ ৯০টি। অর্থাৎ ১৫ নভেম্বরের তুলনায় ২৭ নভেম্বর সাধারণ শয্যায় ৩৪০ জন ভর্তি রোগী বেশি এবং আইসিইউতে ২৫ জন বেশি। ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রামে ৬২২টি সাধারণ শয্যা ও ২৫টি খালি ছিল। ২৭ নভেম্বর ৬২৩টি ও ২১টি আইসিইউ খালি ছিল।

চট্টগ্রামে সাধারণ শয্যায় রোগী না বাড়লেও আইসিইউতে রোগী বেড়েছে। তবে এ ক’দিনের বিশ্লেষণে দেখা গেছে— চট্টগ্রামে সাধারণ শয্যা কখনো বেড়েছে, আবার কখনো কমেছে। একই অবস্থা অন্যান্য হাসপাতালের ক্ষেত্রেও। ১৫ নভেম্বর অন্যান্য হাসপাতালে ৬ হাজার ৬৩২টি সাধারণ শয্যা ও ১৪৭টি আইসিইউ খালি ছিল। ২৭ নভেম্বর ৬ হাজার ৫৭২টি সাধারণ ও ১৪৩টি আইসিইউ শয্যা খালি ছিল।


১৫ নভেম্বর মোট ৮ হাজার ৯০৩টি সাধারণ ও আইসিইউ খালি ছিল ২৮৭টি। ২৭ নভেম্বর ৮ হাজার ৫০৪টি সাধারণ ও আইসিইউ খালি ছিল ২৫৪টি। অর্থাৎ মোট বিশ্লেষণে সাধারণ ও আইসিইউ খালি শয্যা কমেছে।

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. সুলতানা শাহানা বানু খোলা কাগজকে বলেন, আক্রান্তের হার আগের তুলনায় বেড়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক পরার বিকল্প নেই। ঘর থেকে বের হলেই মাস্ক পরতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। হাত না ধুয়ে মুখ-চোখ-নাকে লাগানো যাবে না।

আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর বলেন, গত কয়েক দিন দেখছি বাড়ছে। শুধু বাড়ছে তা নয়; বাড়ছে-কমছে। আমি দুটি বিষয়ে গুরুত্বের কথা বলব। আমরা যেমন মাস্ক ব্যবহারে গুরুত্ব দিচ্ছি; তেমনি বয়স্কদের সুরক্ষার ব্যাপারেও গুরুত্ব দিতে হবে। তারা যাতে আক্রান্ত না হন আর আক্রান্ত হলে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। কেননা, যারাই মারা যাচ্ছেন— তাদের বেশির ভাগই পঞ্চাশোর্ধ।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলে আগের মতো হাসপাতাল স্থাপন বা বাড়ানো হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (এমআইএস) ডা. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের প্রস্তুতি আছে। প্রয়োজন বুঝে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

 
Electronic Paper