নিয়োগ বঞ্চিত কোভিড-১৯ এর স্বেচ্চাসেবক টেকনোলজিষ্টরা আমরণ অনশনে
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৭:০১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০২০
সরকারের রাজস্ব খাতে নিয়োগ থেকে বাদ পরা শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে কর্মরত স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল টেকনোলজিষ্টরা রাজস্বখাতে নিয়োগ বঞ্চিত হয়ে আমরণ অনশনে নেমেছে।
রাজধানীর মহাখালীর শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল প্রাঙ্গনে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে অনশন করছেন নিয়োগ বঞ্চিতরা।
এর আগে গত ৩১ আগষ্ট দাবি আদায়ে আমরণ অনশনে যাওয়ার কথা ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
আমরণ অনশনকারী মেডিকেল টেকনোলজিষ্টরা জানান, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সম্মানিত পরিচালক ১৩ জন স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল টেকনোলজিষ্টকে অত্র প্রতিষ্ঠানে বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ আরটি-পিসিআর পরীক্ষার সাথে সংযুক্ত করেন। এছাড়া ডেঙ্গু শনাক্তকরণে এই প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা দিয়ে থাকলেও এখানে কোন রাজস্বখাতভূক্ত মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ল্যাব) কর্মরত নেই।
অনশনকারীরা দাবি করছেন অত্র প্রতিষ্ঠানে এমপি, মন্ত্রী, সচিব ও স্বনামধন্য ডাক্তার এবং দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিকগণ কোভিড-১৯ পরীক্ষা নির্ভরতার সাথে করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে প্রতিষ্ঠানটি চিকিৎসাখাতে গুরুত্বর্পূ অবদান রেখে সরকারকে সহযোগিতা করেই যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার এই কোভিড-১৯ এ সরাসরি যুক্ত মেডিকেল টেকনোলজিষ্টদের সরাসরি রাজস্বখাতে নিয়োগের জন্য প্রথম ধাপে ১৪৫ জন ও দ্বিতীয় ধাপে ৫৭ জনকে অনুমোদন দেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো দুই ধাপের ২০২ জনের নিয়োগে শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনষ্টিটিউট হাসপাতালের ১৩ জন মেডিকেল টেকনোলজিষ্টিক তালিকাভূক্ত করা হয়নি। যা আমাদের সাথে একধরণের বৈষম্যমূলক আচরন।
মেডিকেল টেকনোলজিষ্টরা বলেন, দুইধাপে রাজস্বখাতে নিয়োগ প্রাপ্ত ২০২ জন মেডিকেল টেকনোলজিষ্টিকদের ন্যায় শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনষ্টিটিউট হাসপাতালে কর্মরত ১৩ জন মেডিকেল টেকনোলজিষ্টিককে নিয়োগ দিতে হবে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট জোড় দাবি জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ছাড়া দাবি আদায়ে আমরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবো।