ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পুলিশ সামনের সারিতে থেকে অর্পিত দায়িত্ব পালন করছে

ঢাবি ভিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৭:৫৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০২০

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, পুলিশ সামনের সারিতে থেকে পেশাদারিত্বের সাথে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছে। পুলিশের উপস্থিতি নেই জীবনের ও সমাজের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই। পুলিশের প্রয়োজন আছে সর্বত্র। অগ্রণী হিসেবে তারা দায়িত্ব পালন করছে।

শনিবার দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে’২০২০-উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শান্তি, কঠিন সংকটে, দুর্ঘটনার সময় পুলিশ সামনের সারিতে থেকে আমাদের জন্য কাজ করছে। সে কারণে তাদেরকে উৎসাহ দেওয়া ও ভালো কাজকে সামনে আনা আমাদের মানবিক ও নৈতিক দায়িত্ব।

‘মুজিববর্ষের মূলমন্ত্র, কমিউনিটি পুলিশিং সর্বত্র’ এই প্রতিপাদ্যের প্রশংসা করে উপাচার্য বলেন, পুলিশের দৃষ্টিভঙ্গি ও দর্শনে পরিবর্তন এসেছে। আমি উপাচার্য হিসেবে এখানে এসেছি, আমি এই কমিউনিটির একজন সদস্য। পুলিশের সর্বত্র যে সহযোগিতা আমরা পাচ্ছি তা এই কমিউনিটি পুলিশিং সুবিধার অংশ হিসেবে আমরা ভোগ করছি।

তিনি বলেন, পুলিশ ও কমিউনিটির সদস্যগণ আমাদের সমাজকে সুশৃংখল রাখার জন্য অপরাধ হ্রাস করতে কাজ করছে। বর্তমানে ইউনিভার্সিটির গ্রাজুয়েটরা পুলিশে আসতে আগ্রহী হচ্ছে, তাদের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এসেছে, মানুষের আস্থার জায়গা বেড়ে গেছে।

ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, পুলিশের হাজার হাজার ভালো কাজের উদাহরণ আছে, তারা সমাজের যেকোন অপরাধ দমন ও অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসছে।

তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্ব হবে পুলিশের যে ভালো কাজগুলোর জন্য সমাজ, দেশ ও কমিউনিটি উপকৃত হচ্ছে সে কাজগুলো সামনে তুলে আনা এবং এটা খুবই জরুরী।

সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সর্বত্র যাতে কমিউনিটি পুলিশিং ছড়িয়ে পড়ে সে উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের এবারে প্রতিপাদ্য বিষয় ‘মুজিববর্ষের মূলমন্ত্র কমিউনিটি পুলিশিং সর্বত্র’।

তিনি বলেন, অপরাধ প্রতিরোধ বা তথ্য উদঘাটনে পুলিশের ক্ষমতা মূখ্য বিষয় না, মূখ্য বিষয়টা হলো যে সমাজের জন্য, যে মানুষের জন্য আমি কাজ করছি, তারা যদি আমার সাথে না থাকে তাহলে এই পুলিশিং কখনোই মানুষের সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবে না। পুলিশের সাথে সম্পর্ক তৈরির জায়গা হচ্ছে এই কমিউনিটি পুলিশিং।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আপনারা দেখেছেন করোনা মহামারি শুরু থেকে বাংলাদেশে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কিভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। যেখানে সন্তান মাকে ফেলে রেখে গেছে, সেখানে পুলিশ কাউকে ফেলে রেখে যায়নি। আমরা ফেলে রাখা মায়ের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি, যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদেরও দাফন করার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ।

ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, যেকোন প্রয়োজনে আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমরা ঢাকা শহরে দুইমাস প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মানুষকে একবেলা করে রান্না করা খাবার খাইয়েছি। অনেক মানুষকে হাজার হাজার প্যাকেটে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী দিয়েছি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশের যারা দুস্কর্ম করছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এই দেশটা এমনি এমনি স্বাধীন হয়নি। অনেক রক্ত ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত দেশটি কতিপয় দুর্বৃত্তের কাছে ছেড়ে দিবো এমন প্রত্যাশা করা ঠিক না। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলে একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণ করতে পারবো। পুলিশের সমস্ত ভাল কাজে আমরা আপনাদের পাশে চাই এবং পুলিশের খারাপ কাজে সবার আগে প্রতিবাদী কন্ঠটা আপনারই হোক এমন প্রত্যাশা করি।

এর আগে কমিউনিটি পুলিশিং এ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় রমনা বিভাগ হতে কমিউনিটি পুলিশিং এর সদস্য এ্যাডভোকেট নাজমুল হাসান ও মতিঝিল বিভাগ হতে মো. মারুফ আহমেদ মোনছের এবং কমিউনিটি পুলিশিং এ শ্রেষ্ঠ পুলিশ অফিসার হিসেবে রামপুরার থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) ইউসুফ হাসান ও নিউমার্কেট থানার এসআই মো. শাহেব আলীকে পুরস্কৃত করা হয়।

এ সময় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ রমনা ও মতিঝিল বিভাগের কমিউনিটি পুলিশিং নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

 
Electronic Paper