নিম্নচাপ বিলীন হচ্ছে, কমছে বৃষ্টিও
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৪:৩১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০২০
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির পর বুধবার রাতে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়। বৃহস্পতিবার সেটি আরও ঘনীভূত হয়ে প্রথমে নিম্নচাপ এবং পরবর্তীতে গভীর নিম্নচাপে রুপ পায়। এর প্রভাবে সারাদেশের অধিকাংশ এলাকায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
তবে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ কেটে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে টানা বর্ষণের প্রবণতাও কমে আসতে শুরু করেছে। সেজন্য আবহাওয়া অধিদফতরও সমুদ্রবন্দরে দেওয়া সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলেছে। অথচ শনিবার সকাল ৬টায় এটি গাজীপুর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ হিসেবে অবস্থান করছিল। যা ক্রমেই আরও দুর্বল হয়ে বিলীন হচ্ছে।
মূলত উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টি গভীর নিম্নচাপটি শুক্রবার পশ্চিম-খুলনা উপকূল অতিক্রম করে।
আবহাওয়াবিদ আবদুল হামিদ গণমাধ্যমকে জানান, “লঘুচাপ-নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টি ছিল। আজ থেকে বৃষ্টি কমবে। কালও (রোববার) কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ হতে পারে। ওয়েদার সিস্টেমটা কেটে যাওয়ার পর স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করবে দুয়েকদিন পর।”
তিনি জানান, পরবর্তীতে রাতের তাপমাত্রা ভোরের দিকে কমার প্রবণতা আসবে। নভেম্বরের মাঝামাঝাঝি শীতের বার্তাও থাকবে আবহাওয়ায়।
আবহাওয়াবিদ হামিদ আরও বলেন, “এখনও দেশের কোথাও কোথাও সক্রিয় রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। এরভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হবে। ধীরে ধীরে তা বিদায় নেবে। মধ্য নভেম্বরে শীতালু আবহাওয়া বিরাজ করবে।”
আবহাওয়ার রোববারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, রংপুর ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে শুক্রবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, নিম্নচাপের প্রভাবে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারি (৮৯ মিলিমিটার বা তার বেশি) বর্ষণ হতে পারে।