ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর উদ্ভাবনী চিন্তার প্রসার ঘটাবে ‘অদম্য বাংলাদেশ’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
🕐 ৭:৩৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, "অদম্য বাংলাদেশ" গ্রন্থটি বিজ্ঞানমনস্ক ও তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর উদ্ভাবনী চিন্তার প্রসার ঘটাবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর "দাবায়ে রাখতে পারবা না"-উক্তি সকলের চিন্তা, মনন ও প্রেরণায় ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে অদম্য বাংলাদেশ- এটাই আজকের প্রত্যয়।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন লিখিত "অদম্য বাংলাদেশ" গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বুধবার ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

স্পিকার বলেন, "অদম্য বাংলাদেশ" গ্রন্থটি আধুনিক ও তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করবে। এছাড়া যে কোন সংকট উত্তরণ করে জাতীয় ঐক্য ও দেশপ্রেম সম্ভাবনাময় বাংলাদেশকে অদম্য গতিতে এগিয়ে নিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. আবু তাহের স্বাগত বক্তব্য, জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম প্রধান আলোচকের বক্তব্য এবং বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বিশেষ আলোচকের বক্তব্য রাখেন।

এ সময় স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ‘অদম্য বাংলাদেশ' গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।

স্পীকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে বিস্ময়কর অগ্রযাত্রায় দারিদ্রের হার হ্রাস, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন,  কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে প্রযুক্তি, কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের প্রসার ঘটানো, জামানতবিহীন যুব ঋণের মাধ্যমে স্টার্টআপকে উৎসাহিত করে উদ্যোক্তা তৈরি করা, নারী ক্ষমতায়ন, সমুদ্রজয় থেকে শুরু করে সুনীল অর্থনীতির দ্বার উন্মোচন- প্রতিটি ক্ষেত্রই বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর ৭৪তম জন্মদিনে 'অদম্য বাংলাদেশ ' গ্রন্থটি  তাকে উৎসর্গ করা যথার্থ হয়েছে।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, অদম্য বাংলাদেশের ভিত রচিত হয়েছিল জাতির পিতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে। স্বাধীনতার পরে মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি সোনার বাংলা নির্মাণে নীতি, সংবিধান ও কর্মপরিকল্পনার কাজ করেছেন। তিনি বলেন গ্রন্থটি র নাম 'অদম্য বাংলাদেশ' অত্যন্ত যুগোপযোগী ও তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে।

'অদম্য বাংলাদেশ ' গ্রন্থটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, প্রযুক্তি-নির্ভর শিক্ষা, সমসাময়িক সমস্যার উত্তরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অনলাইন শিক্ষা, গবেষণাসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নের দৃষ্টিকোনে বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়েছে। এছাড়া কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে করণীয় সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে, যা প্রশংসনীয় বলে স্পীকার উল্লেখ করেন। এ কারনে তিনি গ্রন্থটির লেখক প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মণি এমপি, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান মোঃ সোহরাব হোসাইন এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ।

এছাড়া অনুষ্ঠানে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম সম্মানিত অতিথিবৃন্দের বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

 
Electronic Paper