‘আলোকচিত্র প্রদর্শনী’ ডিজিটাল প্লাটফর্মে প্রদর্শন হবে: পলক
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৮:৪৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ‘আলোকচিত্র প্রদর্শনী’ ডিজিটাল প্লাটফর্মে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন । শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গৌরব ৭১’ আয়োজিত ‘আলোকচিত্র প্রদর্শনী’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা দেন।
পলক বলেন, ২৮ সেপ্টেম্বর এই অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেলেও যাতে ভবিষৎ প্রজন্মের জন্য এই স্থিরচিত্রগুলো যেভাবে রেখে দেওয়া যায়, সেটার ব্যাপারে আয়োজকদের সাথে কথা বলেছি। এই স্থিরটিত্রগুলো ডিজিটাল প্লার্টফর্মের মাধ্যমে ভবিষৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণে রাখা হবে। এতে ভবিষৎ প্রজন্ম প্রধানমন্ত্রীর শৈশব, রাজনৈতিক, পারিবারিক, আন্তর্জাতিক অঙ্গণের ইহিতাসগুলো জানতে পারবে। এমনকি তা ভবিষৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
তিনি বলেন, স্থান সংকোলনের কারণে এখানে অনেক ছবি প্রদর্শন করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু ডিজিটাল প্লার্টফর্মে তো স্থান সংকোলনের কোনো সমস্যা হবে না। তাই সকলের সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওই ছবিগুলো জিডিটাল প্লাটফর্মে নিয়ে যেতে চাই।আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্র সরবোরের আলোকচিত্র প্রদর্শনী শেষ হবে। আর ওই দিন নতুন ডিজিটাল স্থিরচিত্র পদর্শনীর উদ্বোধন হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্থির ছবি ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হবে। কারণ প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটা মুহূর্তই ইতিহাসের অংশ। বঙ্গবন্ধুর যেমন ঘটনাবহুল জীবন ছিল, তেমনি বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য এবং তার রাজনৈতিক জীবন, বিরোধী দলের নেতা হিসেবে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার প্রতিটি দিনই, প্রতিটি মুহূর্তই ঘটনাবহুল। এই প্রত্যেকটি ছবির মধ্যে লুকিয়ে আছে একেকটি ইতিহাস। আমি বলবো যে এই প্রত্যেকটা ছবি এক একটি ইতিহাসের অংশ।
পলক বলেন, আমি মনে করি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের জন্য এবং এই জাতির জন্য অসামান্য অবদান রেখেছেন। এই চিত্র প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনেক অজানা ইতিহাস জানানো সম্ভব হবে। তাদেরকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের জন্য কাজ করার জন্য অনুপ্রাণিত করবে।
পলক আরও বলেন, একটু লক্ষ্য করতে হবে- বিশ্বের ইতিহাসে কিন্তু অনেক রাজনৈতিক নেতা আছেন। যারা সফল রাষ্ট্রনায়ক, সফল সরকারপ্রধান। কিন্তু ব্যক্তি জীবনে একজন আদর্শ সন্তান হওয়া কিংবা মমতাময়ী মা হওয়া বা দূরদর্শী নেতা হওয়া, সবার মধ্যে সেই গুনগুলি থাকে না। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার মধ্যেই এই সবগুলো গুনই বিদ্যমান।
তিনি (প্রধানমন্ত্রী) একদিকে যেমন সাহসী, দূরদর্শী অপরদিকে মমতাময়ী মা। আবার একজন আদর্শ সন্তান। আজকের চিত্রপ্রদর্শনী যে উদ্যোগ নিয়েছে ‘গৌরব ৭১’। এটা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমি তরুণ প্রজন্মের সকলকে অনুরোধ করবো তারা যেন এই চিত্র প্রদর্শনী দেখে এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সংগ্রামী জীবন থেকে অনুপ্রেরণায় নেয়।
এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মোৎসব উপলক্ষে ‘গৌরব ৭১’ আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ধনমন্ডি লেকের রবীন্দ্র সরবোরতে এ আয়োজনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন ছোট্ট শোনা মনি আরিয়াহ তাজিম প্রাপ্তি। আয়োজন সংগঠনের সভাপতি এসএম মনিরুল ইসলাম মনির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এমরান কবির চৌধুরী, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, সাবেক এমপি সেলিনা জাহান লিটা, দৈনিক সময়ের আলো'র নির্বাহী সম্পাদক শাহনেওয়াজ দুলাল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন ও ঢাকা কর অঞ্চলের কর কমিশনার আসাদুজ্জামান প্রমুখ।