ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বাড়ছে চালের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০

ডাল, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের বাড়তি দামের সঙ্গে যোগ হয়েছে চাল। গত কয়েকদিনে বাজারে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। এছাড়া মোটা চালের সরবরাহ কমে গেছে। ফলে চাপ পড়েছে চিকন চালের ওপর। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার গত কয়েকদিনে বারবার চালের দাম না বাড়ানোর বিষয়ে হুঁশিয়ার করছেন। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, চালের দাম বাড়ার পেছনে কোনো কারসাজি নেই। নানা বছরজুড়ে চলমান নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতিতে বাজারে ধানের সরবরাহ কম আবার দামও বেশি। এজন্য চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। রাজধানীতে বাজার ভেদে প্রতিকেজিতে চালের দাম বেড়েছে ৪ থেকে ৬ টাকা। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, চালের দাম বাড়ার প্রধান কারণ চালের চলতি মৌসুম শেষের দিকে। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের পর ৩৩ জেলাজুড়ে বন্যা ও করোনার প্রভাবে বাজারে ধানের সরবরাহ কমেছে। এজন্য চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। রাজধানীর চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিনিকেট চালের দাম বাড়লে তা সব ধরনের চালের দামের ওপর প্রভাব ফেলে। অনেক ব্যবসায়ী বলছেন, মিনিকেট চালের দাম বাড়ানোর পেছনে এই চালের উদ্ভাবক কুষ্টিয়ার আবদুর রশিদ (মিনিকেট রশিদ) দায়ী। 

তবে আবদুর রশিদ বলেন, গত ছয় মাসে আমরা মিনিকেট চালের দাম বাড়াইনি। তবে বাজারে ধানের সংকট রয়েছে। কারণ, সিজন শেষ। এতে চালের বাজার কিছুটা বাড়তি হতে পারে।

টিসিবির হিসাবে, গত এক বছরে মোটা চালের দাম বেড়েছে ২৭ শতাংশ। চিকন চালের দামও বেড়েছে ১৪ শতাংশ। মাঝারি মানের বিভিন্ন চাল বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৪৮ থেকে ৫৩ টাকা। আর প্রতিকেজি চিকন মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে বাজারভেদে ৫৬ থেকে ৬০ টাকা। টিসিবির হিসাবে, গত বছরের এই সময়ের তুলনায় এখন মাঝারি মানের চালের দাম ৯ শতাংশ ও সরু চালের দাম ১৫ শতাংশ বেশি।

জানা গেছে, আড়তে চিকন চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, যা আগে ছিল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। আর মাঝারি মানের চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, যা আগে ছিল ৪০ থেকে ৪২ টাকা।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলী বলেন, চালের বাজারে কারও কোনো কারসাজি নাই। ধানের মৌসুম শেষের দিকে। এখন বাজারে ধান নাই। এবার বছরজুড়েই একটার পর একটা দুর্যোগ লেগেই রয়েছে। সঙ্গে করোনা তো আছেই। এসব কারণে ধানের সরবরাহ কম, দামও বেশি। ধানের দাম বেশি হলে চালের দাম বাড়ে।

এ প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, চালের বাজার নিয়ে কেউ কারসাজি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশে পর্যাপ্ত চাল মজুত আছে। তাই চাল নিয়ে কোনো ধরনের কারসাজি সরকার বরদাশত করবে না।

 
Electronic Paper