ওয়াসার এমডির মেয়াদ ৩ বছর বাড়ানোর সুপারিশ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
🕐 ৯:৩০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০
তাকসিম এ খান ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে ষষ্ঠবারের মতো নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন। শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ওয়াসার বোর্ড সভায় এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিগগিরই তাকে আবার তিন বছরের জন্য নিয়োগ দিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
সন্ধ্যায় শুরু হওয়া বোর্ড সভায় সভাপতিত্ব করেন ওয়াসার বোর্ড সদস্য ও সরকার দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। সভায় তাকসিম এ খানসহ ১১ জন অংশ নেন।
সভার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে বোর্ড সদস্য ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব শাবান মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে তাকসিম এ খানের মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়ানোর প্রস্তাব পাস হয়েছে। এখন প্রস্তাবটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে যাবে। সেখান থেকে প্রস্তাবের সারাংশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে নিয়োগ চূড়ান্ত হবে।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো নিয়োগ পান তাকসিম এ খান। এরপর চার দফায় তার মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগামী ১৪ অক্টোবর পঞ্চমবারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগে গত বৃহস্পতিবারের এক নোটিশে আজ (শনিবার) বিশেষ বোর্ড সভার আয়োজন করা হয়। সভার একমাত্র আলোচ্য বিষয় ছিল তাকসিম এ খানকে আরও তিন বছরের জন্য নিয়োগ দিতে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো।
এ বিষয়ে শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) জানায়, বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালককেই অনৈতিক ও বিধিবহির্ভূতভাবে পুনর্নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে ঢাকা ওয়াসা বোর্ড যে বিশেষ বৈঠকটি তাকে দুর্নীতির সুরক্ষামূলক আখ্যায়িত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি বলছে, সভার আলোচ্যসূচির ভাষায় এটা স্পষ্ট যে বরাবরের মতো এবারও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই ঢাকা ওয়াসার শীর্ষ ব্যবস্থাপনায় একই ব্যক্তির অনৈতকি ও অবৈধ বহাল অব্যাহত রেখে দীর্ঘকালের লালিত এককেন্দ্রিক আধিপত্যবাদ অপরিবর্তিত রাখার সব ব্যবস্থা করে ফেলা হয়েছে।
ধারাবাহিক ব্যর্থতা এবং অনিয়মের গুরুতর সব অভিযোগ থাকার পরও এই পদে প্রশ্নবিদ্ধ নিয়োগ ও অব্যাহত পুনর্নিয়োগ ওয়াসায় শুদ্ধাচার তথা সার্বিকভাবে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকারকে প্রহসনে পরিণত করেছে বলে মনে করে টিআইবি।