এছাড়া, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলায় এসএ জরিপের পর আরএস জরিপ সম্পন্ন না হওয়ায় উক্ত দুটি জেলার ১৪টি উপজেলায়  ডিজিটাল পদ্ধতিতে জরিপ সম্পন্ন করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় নির্ধারিত জিও-রেফারেন্স-কৃত মৌজা ম্যাপ উপর্যুক্ত ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন’ প্রকল্পে সরবরাহ করা হবে। এ প্রকল্পটি ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ভূমি রেকর্ডও জরিপ অধিদফতর বাস্তবায়ন করবে।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১৭টি বিভিন্ন ধরণের ভূমি সেবা এপ্লিকেশন সফটওয়্যার তথা-ই-মিউটেশন, রিভিউও আপিল মামলা ব্যবস্থাপনা, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর, রেন্ট সার্টিফিকেট মামলা ব্যবস্থাপনা, মিউটেটেড খতিয়ান, ডিজিটাল ল্যান্ড রেকর্ড, মৌজা ম্যাপ ডেলিভারি সিস্টেম, মিস মামলা ব্যবস্থাপনা, কৃষি ও অকৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা, দেওয়ানি মামলা তথ্য ব্যবস্থাপনা, হাটবাজার ব্যবস্থাপনা, জলমহাল ব্যবস্থাপনা, বালু মহাল ব্যবস্থাপনা, চা-বাগান ব্যবস্থাপনা, ভিপি সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা, ভূমি অধিগ্রহণ ব্যবস্থাপনাও অভ্যন্তরীণ বাজেট ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি ‘ল্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস ফ্রেমওয়ার্ক’ সিস্টেম সফটওয়্যার-এর মাধ্যমে একই কাঠামোয় নিয়ে এসে আন্তঃপরিচালনযোগ্য ডেটাবেজ তৈরি করে সরকারের অন্যান্য সব সেবার সাথে সমন্বয় করা হবে। এ প্রকল্পটি সরাসরি ভূমি মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে।

সূত্র জানায়, ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ করার জন্য ভূমি রেকর্ডও জরিপ অধিদপ্তরের ডিজিটাল জরিপ পরিচালনার সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প। এই প্রকল্পে স্যাটেলাইট ও ড্রেনের মাধ্যমে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপেক্ষাকৃত স্বল্প সময়ে, নির্ভুলভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ করার জন্য তিনটি পার্বত্য জেলা ব্যতীত সারা দেশের ৪৭০টি উপজেলার মৌজা সার্ভের মাধ্যমে জিও- রেফারেন্সিং পয়েন্ট নির্ধারণ করা হবে। উল্লেখ্য, প্রকল্প দুটি বাস্তবায়িত হলে প্রত্যাশিত সেবাগ্রহীতা সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে না গিয়ে ঘরে বসে মোবাইল/ইন্টারনেট-এর মাধ্যমে সেবা পাবেন। হাতের মুঠোয় ভূমিসেবা প্রদানই প্রকল্প দুটির মূল লক্ষ্য।

ভূমিমন্ত্রী গতকাল দৈনিক খোলা কাগজকে বলেন, ১১৯৭.০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৫  সালের মধ্যে ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প এবং ১২১২.৫৫ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ করার জন্য ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের ডিজিটাল জরিপ পরিচালনার সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের বিষয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় অনুমোদিত হয়। একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও ভূমি সচিব মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী এনইসি সভায় অংশগ্রহণ করেন।